ঢাকা উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণেও ভোট

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:৫০ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচনের সঙ্গে এ করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) রোববারের কমিশন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং এ দুই সিটির বর্ধিত ওয়ার্ডে ভোট করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধে ছয়টি বিষয় বৈঠকে পর্যালোচনা করবে ইসি। এগুলো হচ্ছে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচনের বর্তমানের এখতিয়ারাধীন এলাকা, সীমানা ও ওয়ার্ড। শূন্য পদে উপনির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড বিভক্তি ও ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস।বিভক্তিকৃত ওয়ার্ড ও পুনর্বিন্যস্ত ভোটার তালিকার সিডি প্রাপ্তির সর্বশেষ অবস্থান। উপনির্বাচনের প্রাক্কালে হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নিষ্পত্তিবিষয়ক কার্যক্রমে প্রভাব। দুই সিটির সীমানা বাড়ানোর পর ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি ও ওয়ার্ড চূড়ান্ত করার পর পরিষদেও পূর্বের সদস্য ও বর্তমান সদস্য সংখ্যা এবং পরিষদ গঠনবিষয়ক ধারা ৫ (৩) এর বিধান পর্যালোচনা। দুই সিটিতে সীমানা ও ওয়ার্ড বাড়ায় পরিষদের বা বর্ধিতাংশের কাউন্সিলর পদের মেয়াদ বা নির্বাচনের বিষয় কোনো জটিলতা অথবা আইনি দিক পরীক্ষা করা।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের কোনো জটিলতা নেই। রোববার কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে। কমিশনারার যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। কাউন্সিলরদের মেয়াদ কত বছর হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মেয়রের সঙ্গে যেসব কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তারা বাকি মেয়াদের অংশটুকুর জন্য নির্বাচিত হবেন অর্থাৎ বাকি আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন কাউন্সিলররা।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে শপথ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ থাকে ৫ বছর। ওই নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীর মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের এপ্রিলে। মেয়র পদে নতুন যিনি আসবেন, তিনি মেয়াদের বাকি অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচনে কোনো জটিলতা নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন করার জন্য একটি পত্র কমিশনকে দেয়া হয়েছে।

&dquote;&dquote;

সূত্র জানায়, ৩০ নভেম্বর ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ১ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপনির্বাচন করতে হচ্ছে ইসিকে।

যেসব ওয়ার্ডে ভোটের পরিকল্পনা: বাড্ডা ইউনিয়ন থেকে ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়া ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটারা থেকে যুক্ত হওয়া ৩৯ ও ৪০ ওয়ার্ড, সাঁতারকূল থেকে যুক্ত হওয়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ড, বেরাইদ থেকে যুক্ত হওয়া ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, ডুমনি থেকে যুক্ত হওয়া ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরখান থেকে যুক্ত হওয়া ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণখান থেকে যুক্ত হওয়া ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড এবং হরিরামপুর থেকে যুক্ত হওয়া ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট করতে চায় ইসি।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়ন থেকে ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়া ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট করার পরিকল্পনা করছে ইসি।

 

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: