৫ জানুয়ারি: আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০৪:৪৬ পিএম

রাত পোহালেই ৫জানুয়ারি। দিনটির কথা শুনলেই মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো নানান বিতর্ক চলছে। গত কয়েক বছর ধরে এই দিনটিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ আর বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে দু্’দলই আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। দুই দলই গ্রহণ করেছে নানান কর্মসূচি।

৫ জানুয়ারি একই স্থানে সভা, সমাবেশ করতে চান বড় দুই দল। তবে এবার সোহরাওয়াদী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি চায়। পাশাপশি অন্য আরেকটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে চায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বিএনপির বর্জন ও বিরোধীতার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সংবিধান রক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে দলটি। অন্যদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ওই নির্বাচনে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে উল্লেখ করে দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তারা।

এরপর থেকেই প্রতি বছর ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনৈতিক মহল। আতঙ্কে থাকেন সাধরাণ মানুষ। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা ৯৬দিন হরতাল পালন করেছে বিএনপি। এতে করে বহু মানুষ আগুনে পুড়ে জীবন হারিয়েছে ছিল। এসব কারণে এই দিনটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্ক। 

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:-
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪র্থ বর্ষপূর্তির দিনে দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করবে। গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানাসমূহে ৫ জানুয়ারির অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাশীন দলটি। দেশব্যাপী এই কর্মসূচিতেও দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। 

বিএনপির কর্মসূচি:-
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চাইলেও সেখানে অনুমতি পাচ্ছে না বিএনপি। ইতোমধ্যে সেখানে ইসলামিক ইউনাইটেড পার্টিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তবে আশা ছাড়ছে না বিএনপি। সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ছিলেন। যদি কোন কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দিলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এমআর
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: