বাতিলকৃত সেই শিক্ষার্থীরা পুনরায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষবর্ষের বহুল আলোচিত ভর্তি বাতিলকৃত সেই শিক্ষার্থীরা নতুন করে সুযোগ পাচ্ছে ভর্তি হওয়ার। হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন এবং আপিল বিভাগে দায়েরকৃত সিভিল আপিলের আদেশ মোতাবেক ভর্তি বাতিলকৃত ওই শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে উল্লেখ করা হয়, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৩৩১৯/২০১৭ এবং আপিল বিভাগে দায়েরকৃত সিভিল আপিল নং ৪২৪/২০১৭ এর আদেশ মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ‘এফ’ ইউনিটভুক্ত পরিসংখ্যান ও গণিত বিভাগে ভর্তিকৃত ও পরবর্তীতে ভর্তি বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে যে সকল শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয়েছে তারা ব্যতিত উক্ত শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তির অনুমতি দেয়া হলো। উক্ত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ জানুয়ারি হতে ২১ জানুয়ারির মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নির্ধারিত ভর্তি আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসে’র অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের (গণিত ও পরিসংখ্যান) ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ইবি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘এফ’ ইউনিটের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ১০০ শিক্ষার্থী ওই ইউনিটভুক্ত পরিসংখ্যান ও গণিত বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ওই বছরের ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারহানা আক্তার লিজাসহ ৮৮শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৩ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর মধ্যে ১৬ মার্চ ‘এফ’ ইউনিটে ফের পরীক্ষা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করেন। ফলে ১৬ জানুয়ারি ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তিও বহাল থাকে।
এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন এবং আপিল বিভাগে দায়েরকৃত সিভিল আপিলের আদেশ মোতাবেক ভর্তি বাতিলকৃত ওই শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে।
বিডি২৪লাইভ/ইম
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: