চালের দাম কেজিতে ৭ টাকা কমেছে

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:৪৪ পিএম

বর্তমানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৭ টাকা কমেছে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বিশ্ব-বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে খাদ্য-শস্যের দাম কমেছে এবং বর্তমানে দেশে খাদ্য-শস্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জাসদ দলীয় সংরক্ষিত সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার কোন ভর্তূকি প্রদান করে না। ধান-চাল ও গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার স্ব স্ব পণ্যের উৎপাদন খরচের সাথে সংগতি রেখে ধান, চাল ও গম এর সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু চলতি অর্থ বছরে বাজেটে অভ্যন্তরীণভাবে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল ২ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। এছাড়া গত বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাল সংগ্রহের অনিশ্চয়তা থেকে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যে বাজেটের নির্ধারিত ৬ লাখ মেট্রিক টনের অতিরিক্ত ৯ লাখ মেট্রিক টন অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত বাজেটের আওতায় অভ্যন্তরীণভাবে ১৩ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যে এরইমধ্যে ৫ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়। আগামি জুনের মধ্যে অবশিষ্ট চাল চলতি আমন মৌসুম ও আগামি বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ১ লাখ মেট্রিক টন গম আগামী এপ্রিল-জুন পর্যন্ত সময়ে সংগ্রহ করা হবে।

জাতীয় পার্টির সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, ভিয়েতনাম থেকে যে চাল আসছে সেটা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে যে চাল আসছে সেটা আমরা গ্রহণ করবো না, কারন আইনমন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে একটা সুপারিশ আছে।’ চলতি অর্থবছরে ভিয়েতনাম, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও রাশিয়া থেকে ১০ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য (চাল ও গম) দেশের বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জি টু জি ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা এসব খাদ্যশস্যের মধ্যে ৮ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন খালাস করা হয়েছে। বাকি ২ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন খালাস চলছে।

তিনি বলেন, মায়ানমার থেকে জি টু জি এর আওতায় ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশের বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং ৩১ হাজার মেট্রিক টন খালাস সম্পন্ন হয়েছে।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: