ইবির ‘এফ’ ইউনিট নিয়ে আবারো তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ০৪:৫৩ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আবারো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে রিপোর্ট পেশ করার জন্য ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যাল কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, বাংলা বিভাগের সগযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৬-২০১৭ শিক্ষবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (পরিসংখ্যান ও গণিত বিভাগ) অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি উদঘটনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতর্তৃপক্ষ। তদন্তে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষবর্ষের ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

ভর্তি বাতিল করায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারহানা আক্তার লিজাসহ ৮৮ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ১৩ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন। এরমধ্যে ১৬ মার্চ ‘এফ’ ইউনিটে ফের ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করেন। ফলে ১৬ জানুয়ারি ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তিও বহাল থাকে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিভিউ আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত রায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে যায়। 

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: