দেশের ৮০টি রেল স্টেশন বন্ধ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:৪৩ পিএম

বর্তমানে সারা দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮০টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তাদের ৪৬০ স্টেশনের মধ্যে ৩৮০টি স্টেশন চালু আছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে মোট ১৪০ স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে রেলপথ মন্ত্রী এ নিয়ে কথা বলেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে জানান, যমুনা নদীতে পৃথক রেল সেতু নির্মাণ করবে সরকার।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, চালু থাকা স্টেসনগুলোর মধ্যে ১৮৮ স্টেশনের আধুনিকায়ন করেছে সরকার। বন্ধ থাকা স্টেশনগুলোর মধ্যে পাকশি রেল বিভাগের ৩৯টি, ঢাকা বিভাগের ২০টি, লালমনিরহাট বিভাগের ১২টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি স্টেশন রয়েছে। 

একই দলের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ১৪০টি স্টেসন বন্ধ কওে দেয়া হয়েছিলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দফায় মোট ৬০ স্টেসন পুনরায় চালু করা হয়।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৩৩৭ কোটি ১১ লাখ ৩২ হাজার টাকার ৬৫টি নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। পরে সংশোধিত আকারে ৪৯ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার টাকার ৬০টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।

মন্ত্রী আরো জানান, চলতি অর্থবছরে রেলওয়েতে ৪০টি বিনিয়োগ ও ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) রেলওয়ের জন্য থোকসহ ১৩ হাজার ১ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এর আগে সরকারি দলের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ডুয়েলগেজ রেললাইনসহ পৃথক রেল সেতু নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এলাকার জনগণের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

এজন্য যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইনের সংস্থানসহ পৃথক রেলসেতু নির্মাণের জন্য সরকার ইতোমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বরে একনেকে অনুমোদিত হয় এবং ২০১৬ সালের ২৯ জুনে জাইকার সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জন্য (পরামর্শক নিয়োগ) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটির বিশদ ডিজাইন প্রণয়নের জন্য গত বছরের ২ মার্চে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৫ মার্চ থেকে কাজ শুরু করে। বর্তমানে জিওটেকনিক্যাল ও টপোগ্রাফিক সার্ভেসহ ডিটেইল ডিজাইন প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। অচিরেই রেল সেতু নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: