যানজট কমাতেই এক্সপ্রেসওয়ে: সড়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:২১ পিএম

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকার যানজট কমাতেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাস্তবায়ন চলছে। এ পর্যন্ত ৮১৩টি পাইল, ৭৬টি পাইল ক্যাপ, কলাম ২৭টি সম্পূর্ণ ও ৩৯টি আংশিক এবং একটি ক্রস বীম নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ধীর গতি ও যানজট পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এমপিরা।

মো. নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উদ্বোধনের পর অনেক দিন পার হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ ছাড় শুরু না হওয়ায় রাজধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হয়নি। তবে অর্থ ছাড় হওয়ায় কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যানজট নিরসনে আগামীতে মেট্টোরেল নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) জানতে চান, বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায় যানজটের কারণে ঢাকায় দিনে ৩২ লাখ কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। জবাবে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে গত ৮ বছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর পশ্চিমাংশের স্বার্থে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী কেরানীগঞ্জের যাতায়াত সহজ করতে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডে ১৭৯৩ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার এবং বনানীতে ৮০৪ মিটার দীর্ঘ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।

এম আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১ ) প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ঢাকার সড়গুলো যানবাহনের চাপ সইতে পারছে না। রাস্তার তূলনায় গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণ। প্রতিদিন দেড়শ নতুন গাড়ি যোগ হচ্ছে। এ শহওে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকার কথা থাকলেও মাত্র ৮ শতাংশ রয়েছে। রাজধানীর জনজীবনের স্থবিরতা কাটাতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো তিনি জানতে চান। জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রণীত ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার আওতায় সরকারে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সংসদে তুলে ধরেন।

জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিন (সিলেট ) প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, যানজট মোকাবেলা ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ২০ বছরের অধিক পুরানো বাস-মিনিবাস এবং ২৫ বছরের অধিক পুরানো পণ্যবাহি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন ছোট গাড়ীর পরিবর্তে এখন অধিক সংখ্যক বাস ও ডবল ডেকার বাসের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। জরাজীণ ট্যাক্সিক্যাবের পরিবর্তে মহানগরীতে আধুনিক মানসম্মত ট্যাক্সিক্যাব চালু করা হয়েছে। বিআরটিএ কর্তৃক উন্নতমানের বড় বাস, আর্টিকুলেটর বাস ও দ্বিতল বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিআরটি ও মেট্রোরেল সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৪)প্রশ্নের জবাবে সেতু মন্ত্রী সংসদে জানান, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সেতুতে সড়কের পাশাপাশি রেল লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে রেলপথ মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/ইম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: