কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:০৫ এএম

২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ। সংবিধান অনুযায়ী আগামীকাল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে সর্বত্র আলোচনা চলছে- কে হচ্ছেন ২১তম রাষ্ট্রপতি? এ আলোচনায় বর্তমান রাষ্ট্রপতিসহ তিনজনের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে মো. আবদুল হামিদকে কেন্দ্র করেই বেশি আলোচনা চলছে।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সে হিসেবে ২৩ এপ্রিল তার পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শিগগিরই স্পিকারের সঙ্গে আলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। পরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। কারণ নির্বাচন হবে সংসদ অধিবেশন কক্ষে। ভোট দিয়ে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন সংসদ সদস্যরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশ পাচ্ছে নতুন রাষ্ট্রপতি। দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। এ আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এসএ মালেক। 

গত বছর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর থেকেই অনেকে বলে আসছেন, সাধারণ সম্পাদক পদ হারালেও তার (সৈয়দ আশরাফ) জন্য পুরস্কার অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এ নেতাকে পরবর্র্তী রাষ্ট্রপতি করা হতে পারে। তবে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজেকে রাজনীতি থেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে থাকছেন। এসব কারণে তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এসএ মালেকের নামও অল্পবিস্তর আলোচনায় রয়েছে।

আওয়ামী লীগ এবং সরকারি নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র বলছে, দলের সংকটে দায়িত্বে থাকা বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে আবার মনোনয়ন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ভালোভাবেই সামলেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ইস্যুটিও দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটে পতিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষিত আস্থাভাজন এবং সাহসী রাজনীতিবিদ মো. আবদুল হামিদকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিতে পারে ক্ষমতাসীন দলটি।

দলের নেতারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির মেয়াদে আবদুল হামিদ সকল রাজনৈতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। নৈতিক দৃঢ়তা দিয়ে তিনি এটি অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ অনুযায়ী একাধিক প্রার্থী হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কাজ করেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করবেন নির্বাচনী কর্তা। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংসদের চলমান ১৯তম অধিবেশন শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এর পর আবার অধিবেশনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। সে অনুসারে স্পিকার ও সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে সংসদ সচিবালয় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে ইসি সচিবালয়কে সরবরাহ করবে।

সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সূত্র: আমাদের সময়

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: