রাবির ১০ম সমাবর্তন মার্চে: নিবন্ধন শুরু মঙ্গলবার

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:২৮ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া ১০ম সমাবর্তন এ বছরের মার্চ মাসে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সমাবর্তনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে। নিবন্ধন চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে যারা আগে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তাঁদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১০ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে আবারও নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা এতে অংশ নিতে পারবেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়াসহ সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে দায়িত্ব দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর সময় সাপেক্ষে আগামী মার্চে আমরা সমাবর্তন আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

এসময় তিনি আরও বলেন, গত প্রশাসনের আমলে গঠিত সমাবর্তন কমিটি কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে নতুন কমিটি করা হয়েছে। শীঘ্রই এ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ১০ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয় ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর। সে সময় সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানকে আহ্বায়ক করে সমাবর্তন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয় । কিন্তু সমাবর্তন বক্তা ও প্রশাসনিক জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় সমাবর্তন।

এদিকে ২০১৭ সালের মার্চে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানের মেয়াদ শেষ হলে বন্ধ হয়ে যায় ১০ম সমাবর্তন আয়োজনের কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে। এরপর ১৯৬০, ‘৬১, ‘৬২, ‘৬৫, ‘৭০, ‘৯৮, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম সমাবর্তন। এরপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল ও পিএইচডি কোর্সের ৪ হাজার ৭৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: