‘সরকার ও নির্বাচন কমিশনই রিট করার সুযোগ দিয়েছে’

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৪:০৩ পিএম

একদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘তারা এর জন্য দায়ী না, কিছু করে নাই’। সরকারও তাই বলছে। তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয় আদালতের সামনে আরো পথ ছিলো মন্তব্য করেছেন টকশো’তে আমন্ত্রিত এক অতিথি।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশন ‘গণতন্ত্র এখন’ টক শো’তে আমন্ত্রিত অতিথি ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এ কথা বলেন।

টক শো’র আলোচনার বিষয় ছিলো ‘ছাত্র রাজনীতি ও ভবিষ্যত নেতৃত্ব’। টক শো’তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ. ম রেজাউল করিম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। উপস্থাপনায় ছিলেন মোস্তফা ফিরুজ।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন স্থগিতের মাধ্যমে আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন হলো। আইনও লঙ্ঘন হলো। আইনে বলা আছে, উপ-নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে হতে হবে। একই সাথে আমার আপনার ভোটার অধিকার হনন করা হলো। আমি খুবই বিভ্রান্ত। কারণ হলো:- একদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘তারা এর জন্য দায়ী না, তারা কিছু করে নাই’। সরকারও তাই বলছে। তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয় আদালতের সামনে আরো পথ ছিলো। আদালত অতি যুক্তিকারে বলতে পারতেন। আইনে এই ক্রটিগুলো আছে। আইনের ক্রটিটা দূর করেন। এরপরেও নির্বাচন হউক।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমরা এমন মাপের চেয়ারে এমন লোক বসিয়ে দিয়েছি হয় উচ্চতা খাটো অথবা লম্বা। এই সব সমস্যা আছে। এবং এই কমিশনের আগে যে কমিশনটা ছিলো তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন নিজেদের ক্ষমতা কিভাবে হ্রাস করা যায়। দায়িত্ব কী ভাবে কমিয়ে ফেলা যায়। লম্বা লম্বা কথা বলেছেন। যথেষ্ট হুশিয়ারীর কথা বলেছেন। পরে দেখা গেছে তাদের কথা-বার্তা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে লোকজন হাসাহাসি করছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে যতগুলো কাজ করেছেন এখন পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু দেখা যায় না। তারা কথা কাজে মিল রাখার চেষ্টা করছে।

ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, যারা সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট করেছে। তাদের যৌক্তিক কারণ আছে। যৌক্তিক কারণ হলো, এখানে আইনের কিছু ক্রুটি আছে। আইনের জায়গাটি সংশোধন করা হলে তারা যে রিট করেছেন সেই জায়গাটি আর থাকে না। নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকারের হাতে এই সুযোগটা ছিলো। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলেই, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগেই যেসব আইনি জটিলতা ছিলো তা সমাধান করতে পারতেন। সংশোধন করে যদি তফসিল ঘোষণা করা হতো তা হলে আর রিট করার সুযোগ ছিলো না। যারা সংক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তাদেরকে সংক্ষুব্ধ হওয়া সুযোগ দিয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: