‘আপনার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে’

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৩০ পিএম

এদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ শেখ হাসিনার বর্বরতা আর মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে বেড়াজাল তৈরী করবেন তা ছিন্ন করবেই।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করে আরাফাত রহমান কোকো স্পোটিং ক্লাব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, অনেক রক্ত নিয়েছেন, অনেক লাশ নিয়েছেন। অনেক লুটপাট করেছেন। জনগণের অর্থ তছরুপ করেছেন। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে নিজের কথাকে জোর করে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। আর বিরোধী দলের কথাকে অবদমিত করার চেষ্টা করছেন। এটা আর হবে না।

তিনি বলেন, আপনার দিন শেষ। আপনার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এই ঘন্টা আপনার জন্য বাজছে। এটা বিদায় ঘন্টা। আপনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হলো। কেন? কারণ তারা ভোট হলে জয়ী হবেন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে বা আজকে হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠিকঠাক হয়ে যাবে। কারণ তারা তাদের পছন্দের লোককে সেখানে বসিয়ে দিবে। এখানে তো জনগণের ভোট দেয়ার জায়গা নেই।

"সাবেক যে পার্লামেন্ট, যে পার্লামেন্টে একই ধরণের আওয়াজ হয়, সঙ্গীত সেখান থেকে উচ্চারিত হয়, গাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেখবেন কোন রিটও হবে না। আমার যতটুকু মনে হয়। সবকিছুই সাজানো গোছানো আছে। সেটা তারা করতে পারবে। ন্যায় বিচার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার কারো নেই বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ। খাতায় না লিখলেও পাশ করে যাবে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে। আজ সবই ফাঁস হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর পিএর শত শত কোটি টাকা, এটা কি প্রশ্ন ফাঁসের টাকা। পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার টাকা!

"অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পার্লামেন্টে যারা নাই তাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। তাহলে কারা থাকবে। পার্লামেন্টে যারা আছে তারা তো ভোটারবিহীন। তারপরও গর্ব করে বলেন... চোরের মায়ের বড় গলা। চৌর্যবৃত্তির এমন পর্যায়ে গেছে তারা কিছু মনে করে না। জনগণকে তারা তালাক দিয়েছেন।"

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে দুরভীসন্ধি, মাস্টারপ্লান করছেন। আরেকটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করবেন। তারা আরো লুটপাটের জন্য আবার ক্ষমতায় আসতে চায়।

রিজভী বলেন, তারা অনাচার অবিচার করছে একটাই উদ্দেশ্যে তাদেরকে ফাঁকফোকরের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে হবে। এই সোনার হরিণ তারা খোয়াতে রাজি হয়। সোনার হরিণ কোনভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। এটা করতে দিয়ে যত ধরণের খুন খারাপি গুম হত্যা রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিতে হয় তারা তা করবে। জনগণের এই প্রতিবাদের মুখেও সরকার মনে করছে আমি যদি গুম করি, আমি যদি দুর্নীতি করি, একের পর এক বিরোধী দলের তরুণ নেতাদের যদি লাশ ফেলে রাখি জনগণ ভয়ে চমকে যাবে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলবে না। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের কথা বলবে না। অবাধ ভোটের কথা বলবে না। এই কারণেই তারা সকল নীল নকশা করে যাচ্ছে। নীল নকশা অনুযায়ী অনেকদিন ধরেই কাজ করছে।

আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবিবুল বারী আয়হানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, জাতীয়তাবাদী ক্রীয়া দলের সভাপতি কাজী শামীম তারেক প্রমুখ।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: