‘ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিতে ১৫০ টাকা লাগবে’

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৫:৩৪ পিএম

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) কর্মচারী ও দালালদের নিয়ে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির চক্র। (বিআরটিএ) গেটের বাহির থেকে শুরু করে ভিতরের সব স্থানেই চলে টাকার খেলা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে (বিআরটিএ) গিয়ে দেখা যায়, মোটর সাইকেলের লার্নার কার্ড করার জন্য ফরম নিতে লাগে পাঁচ টাকা। তারপর তিনজন দালাল এসে বলছে ‘এই ফরম পূরণ করে ছবি নিয়ে আসেন আমরা মেডিকেল করে দিচ্ছি, মেডিকেল করতে ১৫০ টাকা লাগবে’

একাধিক দালালের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সনদসহ তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদনের নিষ্পত্তি করতে দালালদের হাতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত তুলে দিতে হয়। অবশ্য বিপুল অঙ্কের এই টাকার অংশ দালালের হাত ঘুরে বিআরটিএর কর্মচারী, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পকেটেও যায়।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স বাবদ দেড় হাজার টাকা, প্রাইভেট কারের জন্য ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার, বাস ও ট্রাকের জন্য ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার এবং অন্যান্য যান্ত্রিক যানবাহনের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ দালালকে দিতে হয়।

এই হিসাব থেকেই জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। এগুলো দালালের হাত ঘুরে নিষ্পত্তি হওয়ার মানেই হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার ঘুষ-দুর্নীতি।

এ বিষয়ে বিআরটিএর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো হয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন দালালদের কারণে অনেকে বিআরটিএতে কাজই করতে পারতেন না। আর এখন দালালরা তটস্থ থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিও থাকবে না। এটি সম্পূর্ণ অনলাইন কার্যক্রমের আওতায় আসছে। লাইসেন্স প্রত্যাশীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর এসে লাইসেন্স নিয়ে যেতে পারবেন।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: