হাতিরঝিলে অবৈধ বাড়ি

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০৭:১৬ পিএম

হাতিরঝিল প্রকল্পটি উদ্ধোধন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি। এ প্রকল্প চালুর ফলে ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক ও মগবাজার এলাকার বাসিন্দাসহ এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। হাতিরঝিল প্রকল্পটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘স্পেশাল ওয়ার্কস অরগানাইজেশন’ (এসডব্লিউও)। এ প্রকল্পের অন্যতম মূল লক্ষ্য হচ্ছে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা ও বন্যা প্রতিরোধ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজধানীর যানজট নিরসন করার প্রক্রিয়া। কিন্তু চারটি অপরিকল্পিত অবৈধ বাড়ির জন্য হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

অপরিকল্পিতভাবে নয়াটোলা পাগলামাজারে অবৈধ চারটি বাড়ি আছে। এসব বাড়ির জন্য পাগলামাজারের রাস্তাটি বড় করা যাচ্ছে না। রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকানপাটও বানিয়েছেন তারা। তাতেই রাস্তা বড় করার অনিশ্চয়তায় আছে পাগলামাজারবাসী।অবৈধভাবে তৈরি বাড়িগুলোর নেই রাজউকের ‘নকশার’ অনুমোদনও। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেই বাড়ির মালিকরা গায়ের জোরে কথা বলেন। কখনো এলাকাবাসীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদেও জরিয়ে পরেন বাড়ির মালিকগণ।

২৩৫/বি, চারতলা বাড়ির মালিক স্বপন শিকদার। তিনি এক কাঠা জমির ওপর রাজউকের বিল্ডিং কোড ও নকশা ছাড়া বাড়ি করেছেন ২০১৩ সালে। জায়গা ছেড়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও রাজউককে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন থাকছেন দীর্ঘদিন ধরে। শুধু তাই নয়, বাড়িটি নির্মাণ করা রাস্তার উপরে। তবে হাতিরঝিলের সংযোগ রাস্তাটি ১৫ ফুট হলেও ভেতরে আছে মাত্র ৮ ফুটের মতো। ফলে এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। ২০১৭ সালের ১ ও ৬ অক্টোবর পাগলামাজারে দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এলাকাবাসীর কারণে বড় ধরনের ক্ষতি রক্ষা পায়।

২৩৫/বি বাড়ির মালিক স্বপন শিকদারের অবৈধভাবে বাড়ি করা দেখে আরো ৩টি বাড়ি ২৪১/বি তিন তলা বাড়ির মালিক আব্দূল হালিম, ২৪১/সি দ্বিতীয় তলা বাড়ির মালিক আব্দুল হাই ও ২৪১/ডি চার তলা বাড়ির মালিক আব্দুল মান্নান রাজউকের নকশা ছাড়াই রাস্তার ওপর বিল্ডিং কোড না মেনে অবৈধভাবে বাড়ি করেছেন।

স্থানীয়রা কয়েকদফা রাজউককে চিঠি দিয়েছে। তবে অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘ঐ বাড়িগুলোকে এরই মাঝে নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রসেসিং চলছে। এখন আমি অসুস্থ পরে কথা বলবো’

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলার মোক্তার সরদারকে একাদিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, পোশাক রপ্তানীকারকদের সংগঠনকে ‘শেষ সুযোগ’ হিসেবে ঢাকার হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার জন্য সাত মাস সময় দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে আপিল বিভাগ থেকে যে ৬ মাস সময় দেয়া হয়েছিল সেটি শেষ হয়েছে গত ১২ই সেপ্টেম্বর। বিজিএমইএ-র আবেদনের প্রেক্ষিতে আবার এই ৭ মাস সময় দেয়া হলো যার শুরু ধরা হবে গত ১২ ই সেপ্টেম্বর থেকে। ফলে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ১৬ তলা ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে হবে বিজিএমইএকে।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: