‌‘বলেছে গুলি করে মারবে’

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৭:৪০ পিএম

রাজধানী বনানীতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এআইইউবি’তে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া বেসরকারি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনের চার সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিল মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক বদরুদ্দোজা বাবু, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাজহারুল মিলন, ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম, সোহাগ এবং প্রযোজক সায়েম খান।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে আড়াই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তাদের আটক করে রাখেন বলে জানান, মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক বদরুদ্দোজা বাবু।

বদরুদ্দোজা বাবু বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য এআইইউবির কর্তৃপক্ষের কাছে মেইলের মাধ্যমে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই, পরে তারা আমাদের সময় দিয়ে যেতে বলেন। যাওয়ার পর কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর। আমি (বাবু) ট্রাস্টি বোডের দুর্নীতির কিছু প্রমান দেখাই। সেই গুলো দেখানোর পর ট্রাস্টি বোডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদিন ও তার বোন আমাদের সবার উপর ক্ষেপে যায়।

আমাদের আটক করে মারধর করে, ক্যামেরা এবং দুইটি ফোন ভেঙ্গে ফেলে। আমাদের বলে গুলি করে মারবে। পরে তারা আমাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে এবং আমাদের সম্পর্কে পুলিশকে অভিযোগ করে আমরা নাকি অতিরিক্ত প্রশ্ন করার কারণে তারা আমাদের আটক করে রেখেছে।

আটক করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম ফরমান আলী বলেন, সাংবাদিকদের আটকে রাখার কথা শুনে আমরা সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় যাই, আমরা যাওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়। পরে আমরা বিষয়টা জানতে চেয়েছি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যায় কিন্তু তাদের কোন ধরনের নিরাপত্তা থাকেনা। প্রায় সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের হামলার স্বীকার হয়। এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি কিন্তু স্বাধীন ভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারিনা। এই ধরনের সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: