ঝাল কতটা  উপকারী ?

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৮:৩২ এএম

ঝাল কথাটির মধ্যেই কেমন একটা ঝাঝালো ভাব আছে । যা আমাদেরকে সতর্ক করে দেয় বলে সাবধান। ঝাল খাবার খেয়ে ঠোঁট জ্বলেপুড়ে যাওয়া, হালকা ঘাম হওয়া, মুখের ভেতর আগুনের কু-লী রাখার মতো অনুভূতি আসাটা স্বাভাবিক।অনেকেই এটাকে উপভোগ করেন, কেউ আবার এই অনুভূতিগুলো নেহাতই যন্ত্রণা হিসেবে বিবেচনা করে ঝাল থেকে দূরে থাকেন।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঝাল খাওয়াটা আমদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর কিংবা আদৌ কিনা।

আসুন জেনে নিই ঝালের অনুভূতি কিভাবে সৃষ্টি হয়। মরিচের একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা ক্যাপসাইসিন বলে পরিচিত। এই ক্যাপসাইসিন আমাদের স্বাদ গ্রন্থিতে গিয়ে মিলিত হলে স্বাদ গ্রন্থি তাপমাত্রা এবং ঝালের সংকেত ব্রেনে পাঠায় এবং আমাদের ঝালের অনুভূতি সৃষ্টি হয় বলে জানান ব্যাজিলিয়ান।

ঝাল কতটা ক্ষতিকারক?

একটি শ্রুতি কথা প্রচলিত আছে যে লাল মরিচ আমাদের অন্ননালী এবং জিহ্বার ক্ষতি করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে রান্না করা খাবারের ঝাল খেলে কোনো ক্ষতি করে না। কেননা, যখন আমরা ঝাল খাই, আমাদের ব্রেণ তখন ব্যাথা সংকেত গ্রহন করে। ফলে পাকস্থলি বিপর্যস্ত হয়ে বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়। পাকস্থলি বিষ গ্রহণের মতো প্রতিক্রিয়া দেয় এবং ঝাল জাতীয় যে খাবার খাওয়া হয়েছে সেটি বের করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়।

যদি বমি হয়ে যায়, তাহলে যে অ্যাসিড পাকস্থলি থেকে বের হয়ে আসে সেটি অন্ননালীতে বিরক্তির সৃষ্টি করে। বেশি ঝাল মরিচ বিরক্তি বাড়িয়ে দেয়। ২০১৬ সালে মরিচ খাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিরিক্ত মরিচ খাওয়ার কারণে অন্ননালী পুড়ে একজন মারা যান।

ঝাল যতটা উপকারী!

তবে ঝাল খাওয়ার কিছু উপকারও আছে। গবেষকরা বলছেন, ক্যাপসেইসিন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যরসিক মানুষদের ক্ষুধা নিবারন করে চিকন থাকতে সহায়তা করে, ক্যালরি দহনের সক্ষমতা বাড়ায়, ব্যাথা কমায়, সাইনাস পরিষ্কার করে, কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন দমন করে।

ঝালের উপকার পেতে হলে অতিমাত্রার ঝাল পরিহার করে সহনীয় মাত্রার ঝাল বাছাই করতে হবে যা খাবারকে সুস্বাদু করবে। এটা জিহ্বা, অন্ননালী, পাকস্থলির উপরও কম প্রভাব ফেলে।

সূত্রঃ হেলথ

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: