তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনায় এশিয়ার যে শহরগুলো!

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৫৫ এএম

প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১শত ১০ মিলিয়ন বার পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে এশিয়াসহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি শহর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমেরিকান পরিবেশবিদ আল গোর একটি ভিডিওতে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

আল গোরের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর মধ্যে পরিবেশ দূষণের চিত্র বেশি লক্ষণীয়। এসময় পৃথিবীর মধ্যে জ্বালানীসহ বিভিন্ন জিনিস পুরানো হয়ে ছিলো। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়লা খনন, পার্মাফ্রটিং, কয়লা জ্বালানী, সারের ব্যবহার, শিল্পায়ন, জমি পরিবহন ও বিভিন্ন যানবাহন ও আকাশ যানের ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়।

২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সালের ভিতরে খড়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ার প্রায় ৬০ ভাগ উর্বর জমি মরুভূমিতে রুপান্তরিত হয়েছে। এর ফলে পৃথিবী থেকে খাদ্য ও আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। এ কারণে নতুন নতুন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। নীল ভাইরাস, রিফট জ্বর, চিকনগুনিয়া, চাগাস রোগ, জিকা ভাইরাস ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মারাত্মক রোগ রয়েছে।

আর এই শতাব্দীর ২০১৫ সালটি পৃথিবীর বুকে সব চেয়ে উষ্মতম বছর। তাছাড়া ২০১৬ সালে জানুয়ারি সব থেকে উষ্মতম মাস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

উষ্মতার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে গোর বলেন, টাইফুন, অতিমাত্রা খড়া, বন্যা, সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, বাতাসে কার্বন ড্রাই অক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি ও অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। আশি শতাব্দীতে পরিবেশ দূষিত বেশি হলে বর্তমান তা কম হচ্ছে বলে তিনি জানান। পরিবেশ দূষণের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জ্বালানী ক্ষেত্রের ঝোঁক কমিয়ে বাংলাদেশ প্রাধান্য দিচ্ছে নবায়ন যোগ্য শক্তির দিকে। সোলার কিংবা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারেও বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাছে থেকেও এগিয়ে। এই দিক থেকে পরিবেশ রক্ষা বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে বেশ পরিচিতি পাচ্ছে বাংলাদেশ!

পৃথিবীর মধ্যে উষ্মতার বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি শহর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সম্ভবনা শহরগুলো হলো- মিয়ামী, গুয়ানহু, নিউ ইর্য়ক, কলকাতা, সাংহাই, মুম্বাই, টকিও, হংকং, ব্যাংকক।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: