নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাজ্য 

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৩:৪০ পিএম

দুই বছর পর পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের ওপর থেকে কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাজ্য। দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর এই পথ খুলে দেয়া হলো।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সে দেশে সরাসরি পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আলোচনার জন্য গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সফরে যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত শাহজালালের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করে।

মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর যুক্তরাজ্যের পরামর্শে শাহজালালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইনকে। প্রতিষ্ঠানটি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের পরামর্শ দেয়। যুক্তরাজ্যের পরামর্শে রফতানি কার্গো জোনে বসানো হয়েছে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস)।

এছাড়া, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এএপিবিএন) ডগ স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছে ৮টি কুকুর। কুকুরগুলো মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ক্ষতিকর বস্তু শনাক্তে পারদর্শী। যুক্তরাজ্যের পরামর্শ অনুযায়ী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের হোল্ডে রাখার মতো ভারি ব্যাগ তল্লাশির জন্য ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন, হ্যান্ডব্যাগ তল্লাশির জন্য ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (এলইডিএস), আন্ডার ভেহিক্যাল স্ক্যানিং সিস্টেম (ইউ ভি এস এস), ফ্যাপ ব্যারিয়ার গেট উইথ কার্ড রিডার, ব্যারিয়ার গেট উইথ আরএফআইডি কার্ড রিডার, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), এক্সপোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি) যন্ত্রপাতি বসানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কার্গো পরিবহন রাষ্ট্রয়াত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অন্যতম একটি আয়ের উৎস। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান মুনাফা করলেও গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে নিট মুনাফা। ১৯ ডিসেম্বর বিমানের ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমানের মুনাফায় প্রভাব পড়েছে। কার্গো পরিবহন খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান ৩৩ হাজার ৫৪২ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহন করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল ৪০ দশমিক ৯৩১ মেট্রিক টন। পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম কার্গো পরিবহন করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কার্গো খাতে বিমানের আয় হয়েছে ২৪৪ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ৩১৫ কোটি টাকা।

বিডি২৪লাইভ/এএইচাআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: