কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে আসল চিৎকার! (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৮:৪৪ এএম

পৃথিবীর নিয়ম হলো জন্মালে একদিন মৃত্যু বরণ করতে হবে। এ ধারায় ব্রাজিলে রোজংলা নামের এক জন নারীকে কবর দেয়ার ১১ দিন পর তার কবর থেকে চিৎকার ভেসে এসেছে। যা কিনা অবাক করার মতো ঘটনা।

রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোস নামের ৩৭ বছর বয়সীকে তার পরিবার মৃত ভেবে কবর দিয়ে দিয়েছিল। এই দীর্ঘ ১১ দিন ধরে কংক্রিটের সেই অন্ধকার কবর খুঁড়ে বাইরে বেড় হওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু নিয়তির লেখন না যায় খন্ডন। তাই তো শেষরক্ষা হয়নি তার। রোজংলার কবর খুলে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তার। ওই সময়ও রোজংলার দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল।

জানা গিয়েছে, গত মাসে তীব্র ক্লান্তির কারণে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার। প্রায় ৭ দিন হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর ২৮ জানুয়ারি চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

রোজংলার ডেথ সার্টিফিকেট অনুসারে, প্রথমে কার্ডিয়াক আরেস্ট এবং তারপর ‘সেপটিক শক’-এ গিয়ে তার মৃত্যু হয়। পরের দিন উত্তর ব্রাজিলের রিয়াচও দাস নেভেসের ‘সেনহোরা সানটানা সেমেট্রি’তে কংক্রিটের কফিনে মৃত রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার।
&dquote;&dquote;

স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান, রোজংলাকে কবর দেয়ার ১১ দিন পর কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয়রা কবরের ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান। তারা সাথে সাথে রোজংলার পরিবারকে খবর দেয়। এ সময় তার পরিবারের লোকজনেরা কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন। তখনো তার গায়ের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন। নিয়তি তাকে মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, কবরস্থান থেকে কয়েকজন মিলে একটি ভারী কফিন তুলছে। তারপর কফিনের ঢাকনা খুলতেই সবাই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন।

জানা গেছে, রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাত ছিল। যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কফিনের পেরেকগুলিও উপর দিকে উঠে ছিল। কফিনের ভেতরে রক্ত ও আচড়ানোর দাগ ছিল বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি যখন কবরটির সামনে যায় তখন কবরের ভিতর থেকে আসা আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ভেবেছিলাম কবরে যেসব বাচ্চারা খেলতে আসে তারা আমার সঙ্গে মজা করছে। তারপর আমি তাকে দু’বার আওয়াজ করতে শুনি এবং ওই দু’বার আওয়াজের পর তিনি আর কোনো শব্দ করেননি।’

এ বিষয়ে রোজংলার মা জারমানা ডে আলমেদিয়া (৬৬) বলেন, ‘রোজংলা কবরের ঢাকনাটি খোলার প্রাণপন চেষ্টা করেছিল। ওর হাতে আঘাত ছিল। যেন ও বেড়ানোর চেষ্টা করছিল।’ পরিবারের বিশ্বাস রোজংলাকে ভুল করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।

রোজংলার বোন ইসমারা আলমেদিয়া বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনা। আমরা কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চাইনা।’

তবে পরিবার কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে না চাইলেও মৃত্যুর ১১ দিন পর কারোর দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারেনা। এই সত্যটি স্বীকার করে নিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আর্নাল্ডো মন্টে। ঠিক কি ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপাত্র।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: