কারা কতৃপক্ষের কাছে কোন চাহিদার কথা বলেননি খালেদা
দুর্নীতির মামলার দণ্ডিত হয়ে ১৩ দিন ধরে কারাগারে বন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে চুপচাপ দিন কাটছে তার। দিন-রাতে নিয়মিত নামাজের পাশাপাশি অজিফা পড়েন তিনি। এ ছাড়া তিনি পত্রিকা পড়েন ও বিটিভি দেখেন।
কারাগারের দিনগুলোতে খালেদা জিয়া মূলত চুপচাপ সময় কাটাচ্ছেন। কারা কর্মকর্তাদের কাছে এ পর্যন্ত তিনি কোনো চাহিদার কথা বলেননি। কারা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে নিজেই বলবেন। এ খবর দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর।
খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বকশীবাজারের বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এর পরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে প্রথম তিন দিন তাকে সিনিয়র জেল সুপারের পরিত্যক্ত কক্ষে রাখা হয়।
পরে তাকে কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডের দোতলার ডেকেয়ার সেন্টারে রাখা হয়। আদালত ডিভিশন-১ প্রাপ্ত বন্দি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার গৃহ-সহযোগী ৩৫ বছরের ফাতেমা বেগম।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনের দিন শুরু হয় ফজর নামাজ পড়ার মধ্য দিয়ে। এর পর তিনি সকালের নাশতা হিসেবে রুটি ও সবজি খান।
এর পর কারা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়েন তিনি। পরে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে গোসল করে দুপুরে জোহরের নামাজ পড়েন। পরে তিনি অজিফা পড়েন। খালেদা জিয়া দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, সবজি ও মাছ খান।
কারাগারের নিয়মানুযায়ী, ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার কক্ষের দরজা আটকে দেয়া হয়। এর আগে তিনি দোতলার বারান্দায় পাঁয়চারি করেন।
সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়েন খালেদা জিয়া। এর পর কিছুটা সময় বিটিভি দেখার পর রাতের খাবার খান। রাতে রুটি, সবজি ও মুগ ডাল খান।
পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্না করা এসব খাবার প্রথমে একজন ডেপুটি জেলার ও জেলার খান। পরে চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে খালেদা জিয়াকে পরিবেশন করা হয়।
গৃহ-সহযোগী ফাতেমা বেগমই খালেদা জিয়াকে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে পরিচর্যার কাজ করেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকেন না।
ফাতেমা দিনেরবেলা কর্তব্যরত নারী কারারক্ষীর কাছে থাকেন। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিএনপি নেত্রীর কাছে গিয়ে তাকে ওষুধ খাওয়ানোসহ অন্যান্য সহায়তা দেন। এর পর রাতে খালেদা জিয়ার পাশের কক্ষে অবস্থান করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এর পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জামিন আবেদন করেন। তার আইনজীবীদের আশা আদালত জামিন মঞ্জুর করলে শিগগির মুক্তি লাভ করবেন খালেদা জিয়া।
বিডি২৪লাইভ/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: