গাড়ির দরজা বন্ধ করে ভালোবাসা! অতঃপর..
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না।
ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।
কথায় আছে, ভালবাসা নাকি স্থান-কাল-পাত্র বোঝে না। আবেগের বাঁধ যখন ভেঙে যায়, তখন কিছুই খেয়াল থাকে না। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির খেয়াল যে একটু রাখতেই হত। তাহলে আর বেঘোরে প্রাণটি যেত না জার্মান যুগলের। পুলিশ তাদের প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে এমনটাই।
কী এমন ঘটেছে ওই যুগলের সঙ্গে? বন্ধ গাড়িতে ইঞ্জিন চালু রেখে যৌনতায় মেতেছিলেন তাঁরা। সেই অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুজনে।
কয়েকদিন আগে পুলিশের কাছে দুটি পৃথক নিখোঁজের অভিযোগ আসে। নিখোঁজ ছিলেন ৩৯ বছরের ব্যক্তি ও ৪০ বছরের মহিলা।
দুই নিখোঁজের খোঁজ করতে গিয়েই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হন গোয়েন্দারা। পশ্চিম জার্মানির একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের পিছনের গ্যারেজে দু’জনের মৃতদেহ গাড়ির ভিতরে আবিষ্কার করে পুলিশ। সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ছিল ওই যুগলের দেহ। গাড়ির লক খুলে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে যুগলের।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, বন্ধ গাড়িতে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছিলেন ওই যুগল। শরীর গরম রাখতে গাড়ির ইঞ্জিন চালু রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বেশিক্ষণ ইঞ্জিন চালু রাখার ফলে গাড়ির ভিতরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার জেরে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় দুজনের।
এদিকে যুগলের এই সম্পর্কের কথা তাঁদের পরিবারের কেউ জানতেন না। বাড়ি থেকে বেরনোর ২৪ ঘণ্টা পরও না ফেরায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল দুজনের পরিবার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আশার পর বাকরুদ্ধ হয়ে যান তাঁরা। দুই পরিবারের স্বার্থেই যুগলের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। পূর্ণ তদন্ত হলেই সত্যিটা জানা যাবে বলে আশা গোয়েন্দাদের।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: