গর্ভকালীন সময় পায়ে রিং পরতে যেন ভুলবেন না!

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৮ পিএম

একাধিক বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে, গর্ভবতী মহিলারা যদি পায়ে রিং পরেন তাহলে মা এবং বাচ্চার দারুন উপকার হয়। সেই সঙ্গে প্রসবের সময় কোনও ধরনের জটিলতা হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রাচীন এই প্রথা টি মেনে চললে মেলে আরও অনেক উপাকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১) মন শান্ত থাকে- 
প্রেগন্যান্সির সময় মায়ের শরীরের ভিতরে এতমাত্রায় পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেস লেভেল ও খুব বেড়ে যায়। ফলে নানা ধরনের জটিলতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই সময় পায়ে আংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এটা কলেস্ট্রল লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনও শান্ত হয়ে যায়। এছাড়াও ব্লাড প্রসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে প্রসবকালে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

২) শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়- 
পায়ে আংটি পরলে নির্দিষ্ট কোন একটি আঙুলের উপর চাপ পরতে শুরু করে। এর ফলে ইউটেরাসে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। এরকারণে একদিকে যেমন বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, তেমনি মায়ের সঙ্গে বাচ্চার সম্পর্কও আরও গভীর হতে শুরু করে। আসলে বাচ্চার সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক যত গভীর হয়, তত বাচ্চার বেড়ে ওঠার পথে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা যায় না।

৩) আকু প্রেসারের উন্নতি ঘটে- 
আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে আকুপ্রেসারের ভূমিকাকে কোনওভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তাই তো পায়ে আংটি পরার প্রয়োজন আরও বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ এর ফলে পায়ের বিশেষ কিছু অংশে চাপ পরতে শুরু করে। যার প্রভাবে বাচ্চার স্বাস্থ্যের মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে সময়ের আগে ডেলিভারি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি প্রাসবকালীন অন্যান্য সব সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৪) মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকে- 
একাধিক গবেষণায় প্রামাণিত হয়েছে যে, রুপা অথবা লোহার রিং পরলে মাটির সঙ্গে পায়ের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যার প্রভাবে দেহের ভেতর এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার ফলে যেকোনও ধরনের শারীরিক জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। যার সুফল মা এবং বাচ্চা উভয়ই ভোগ করে থাকেন।

৫) ইউটেরাসের ভারসাম্য ঠিক থাকে- 
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে মায়ের শরীরের ভিতরের এনার্জির ভারসাম্য যত ঠিক থাকবে, তত মা এবং বাচ্চার শারীরিক উন্নতি ঘটবে। এই কারণেই এই সময় পায়ে আংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এটা করলে দেহের ভিতরে এনার্জির ব্যালেন্স ঠিক থাকবে। যার ফলে প্রেগন্যান্সি সম্পর্কিত যেকোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: