বদলে যাবে ঢাকা মেডিকেল

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০১:৫৫ পিএম

১১২ বছরের পুরানো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) চেহেরা বদলে যাবে। এ লক্ষ্যে সরকার বড় বাজেটের নতুন প্রকল্প নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। বিপুলসংখ্যক রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালটিতে রয়েছে সব ধরনের সেবার সীমাবদ্ধতা। বিশেষ করে মাত্র ২ হাজার ৬ শয্যার এ হাসপাতালে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন।

প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই শতাধিক রোগীর জরুরি সেবা এবং সার্জারি করতে হয়। ১১২ বছরে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালের সেবার মান ও সক্ষমতা তেমন বাড়েনি। এতে প্রতিদিনই হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে স্থান সংকুলানের সীমাবদ্ধতাও। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের ফ্লোরে শুয়ে হাসপাতালে অবস্থান করতে হচ্ছে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৬১টি ছোট-বড় ভবন রয়েছে। ১৯০৫ সালে নির্মিত হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৬ সাল থেকে। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধিকার আন্দোলনের সর্বস্তরে; বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি এ হাসপাতালের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

সব দিক বিবেচনা করে ঢামেক কার্যক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন নতুন প্রকল্পে শয্যা সংখ্যা হবে ৫ হাজার। সময় লাগবে ৭ বছর। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু অনুশাসন দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢামেক হাসপাতালের আধুনিকায়নের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তার ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কিছু কাজ করেছে। এখনও বলতে গেলে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে বলা যাবে না। এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটা ধারণা পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো আমরা প্রধানমন্ত্রীর অবলোকনের জন্য পাঠিয়েছি। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, সে আলোকে কাজ এগোবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালটির আধুনিকায়নের নির্দেশ দিলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তৎপর হয়ে ওঠে। এরপর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে স্থাপত্য অধিদপ্তরকে একটি আধুনিক নকশা প্রণয়নের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু স্থাপত্য অধিদপ্তর যথাসময়ে নকশা প্রণয়নে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে ঢামেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডকে দিয়ে একটি নকশা তৈরি করাণ। প্রফেশনাল অ্যাসোয়িয়েটের তৈরি করা নকশায় ৫ হাজার শয্যার ৭ লাখ ৯০ হাজার বর্গমিটারের ২০ তলা ভবনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নকশাটির আলোকে শুধু স্থাপনা নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৭ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। আর ভারি যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রসহ প্রাক্কলিত ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৩ হাজার থেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা। ওই প্রস্তাবের মধ্যে আধুনিক চিকিৎসার সব যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে বলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সূত্র জানায়। প্রফেসনাল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের প্রস্তাবে ২৭টি ভবন নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: