খাওয়া যায় ডিমের খোসা! 

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৯:৪৬ এএম

ডিমে খায় না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা। তবে আমরা সিদ্ধ, ভাজা অথবা রান্না যে ভাবেই খাইনা কেনো। সাধারনত ডিমের খোসার ভিতরেরে নরম অংশ টুকুই খেয়ে থাকি। আর সবচেয়ে শক্ত অংশ ডিমের খোসা সেটি ফেলে দেই। তবে জানেন কি? ডিমের খোসার বেশির ভাগটাই তৈরি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে। বাকিটা প্রোটিন ও মিনারেল। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত এক দশক ধরে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডিমের খোসার গুঁড়ো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ ডিমের খোলায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৪০ শতাংশ। ফলে মাত্র ১ গ্রাম ডিমের খোলা গুঁড়ো থেকেই পাওয়া যায় ৩৮১-৪০১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন যতটা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন, প্রায় ১,০০০ মিলিগ্রাম, তার অর্ধেক একটি ডিমের খোলা থেকেই পাওয়া যায়।

এমনকী, বাজারচলতি পিউরিউফায়েড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের তুলনায় ডিমের খোসা গুঁড়ো শরীরে শোষণও ভাল হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ডিমের খোসায় স্ট্রোনটিয়াম, ফ্লুওরাইড, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামের মতো মিনারেল থাকে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি এই মিনারেলগুলোও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

মেনোপজের পর মহিলাদের অস্টিওপোরেসিসের সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকরা ডিমের খোসা গুঁড়ো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গেই ভিটামিন ডি৩ ও ম্যাগনেশিয়াম সাপ্লিমেন্ট শরীরে মিনারেলের ঘনত্ব বাড়িতে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি কমায়।

 

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: