মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি!
হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সেই কারণেই অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি আমরা। ঠিকঠাক চিকিৎসা না হলে, কয়েক মিনিটেই মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে হৃদরোগ বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা। মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় বেশি থাকে। তবে এটা অনেকেই জানেন না, যে হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য রয়েছে চিকিৎসাতেও। এরকমই আরও কয়েকটি তথ্য রয়েছে হৃদরোগ সম্পর্কে।
১) হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এক নয়-
অনেকেই ভাবেন হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট একই। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে মূল তফাত হল, হার্ট অ্যাটাকে হার্টের একটি নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই অংশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হার্টের সমগ্র অংশই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে মানুষ জ্ঞান হারায় এবং তার মধ্যে হৃদস্পদন থাকে না।
২) মহিলাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি-
হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। বাইর থেকে কোনও মহিলাকে দেখতে যতই সুস্থ দেখাক, তার মানে এই নয় যে তাঁর হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর এই সম্ভাবনা পুরুষদের থেকে মহিলাদের মধ্যে বেশি বলে জানা গিয়েছে সমীক্ষায়। পরিবারকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অধিকাংশ মহিলাই নিজেদের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করেন। সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যান না বা ওষুধ খান না।
৩) ৪০-৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের হৃদরোগ বেশি হয়-
এই বয়সেই হার্টের রোগের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। কারণ, এই বয়সেই মহিলারা মেনোপজ়াল স্টেজ পেরিয়ে আসেন, এই বয়সে হরমোন শরীরকে সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এই বয়সেই মহিলারা সবথেকে বেশি একাকীত্বে ভোগেন। এরপর ৬০ বছর পার হলেই হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। সেই সময়টা পুরুষদের জন্যও বিপজ্জনক।
৪) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা-
দুশ্চিন্তা থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, এমনটা ধারণা করা হলেও দুশ্চিন্তা আসলে সরাসরি হৃদরোগের কারণ নয়। তবে দুশ্চিন্তা হলে অনেকেই অতিরিক্ত ধূমপান করেন, চর্বিযুক্ত খাবার খান কিংবা মদ্যপান করেন। মূলত এসব কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এছাড়া দুশ্চিন্তা উচ্চ রক্তচাপ আরো বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫) উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই কোলেস্টরল-
উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই কোলেস্টরল এই দুটোকে বলা যায় গুপ্ত ঘাতক। অনেক সময়ই হৃদরোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার আগ পর্যন্ত বোঝা যায় না রক্তচাপ কিংবা কোলেস্টরল বেশি কী না। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা হতে পারে এই দুই ঘাতকের বিরুদ্ধে শ্রেষ্ঠ লড়াই। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
বিডি২৪লাইভ/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: