‘ডাক্তার দেখানোর টাকাও পুড়ে গেছে’

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৮, ০৩:৪৫ পিএম

ভয়াবহ আগুনে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত আট হাজারেরও বেশি ঘর। কোন মালপত্রই আর অবশিষ্ট নেই। 

এতক্ষণ বলছিলাম গত ১১ মার্চ রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২ নম্বরে অবস্থিত মোল্লা বস্তিতে লাগা ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। টানা পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকালে সরজমিনে মোল্লা বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের আহাজারি আর কান্নার শব্দ। চারদিকে শুধু পোড়া গন্ধ, যে যার মতো পারছে তার নিজের পোড়া মালামাল গুলো পাইকারি দরে হকারের নিকট বিক্রি করছে। 

&dquote;&dquote;এসময় নুরনবী নামে এক বাসিন্দা বিডি২৪লাইভকে বলেন, আগুন কিভাবে লেগেছে তা বলতে পারছি না। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর এসেছেন। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের দল এই বস্তিতে ঢুকার তেমন কোন সুযোগও নেই।

৪০ বছর যাবৎ এ বস্তিতে থাকা দিদার নামে এক বাসিন্দা জানান, এর আগেও এই বস্তিতে দুইবার আগুন লাগে কিন্তু এতোটা ভয়াবহ হয় নাই। এখন আমাদের থাকার কোন ব্যবস্থা নেই, আমরা পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি, গত রবিবার মায়ের রক্ত পরীক্ষা করাইছি চিকিৎসার জন্য। ডাক্তার দেখানোর যে টাকা ছিল সেই টাকাও পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, তাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে ওই বস্তিতে আট হাজারের মত ঘর ছিল। আগুনে তার ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশই পুড়ে গেছে।

&dquote;&dquote;প্রায় ৭০ বিঘা জমির ওপর ওই বস্তিতে ঢুকার রাস্তাগুলো সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে এবং কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি ।

&dquote;&dquote;উল্লেখ্য, ইলিয়াস মোল্লার এই বস্তিতে মানুষ বসবাস করেন প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশী। তারা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। মিরপুরের অধিকাংশ গার্মেন্টসেই কাজ করেন এই বস্তিতে অবস্থিত বাসিন্দারা। আগুন লাগার পর তারা জানে না কে কোথায় থাকবে। তাদের কাছে নেই খাওয়ার কিছু, থাকার জন্য নেই মাথায় ছাদ।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: