কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগের দাবি

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৮, ০৯:৪৮ পিএম

চাকরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও আদালত অবমাননার শামিল। কারণ এ ব্যাপারে করা রিট আবেদন সম্প্রতি উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তাই এ আন্দোলনের কোন নৈতিক ও আইনি অধিকার কারো নেই বলে মন্তব্য করেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন।

শুক্রবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, সাধারণ ছাত্রদের কাঁধে ভর করে জামাত-শিবির চক্র ঐতিহাসিক মার্চ মাসে রাজধানীর রাজপথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তা কোন সভ্য মানুষ মেনে নিতে পারে না।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন মধ্যম আয়ে উন্নীত হতে যাচ্ছে। দেশে যখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, তখন আন্দোলনের নামে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাও তাদের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আমরা মনে করি।

এসময় ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলন্ঠিত করতে না পারে সে জন্যে অভিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন, দাবিগুলো হলো- ১) জাতির পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের শাস্তি দিতে হবে। ২) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। ৩) প্রিলিমিনারী থেকে কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪) মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। ৫) প্রশাসন থেকে রাজাকার ও তাদের বংশধরদের বের করতে চিরনী অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদগুলোতে চলতি বছরেই নিয়োগ দিতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন ও দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শহীদ সাংসদ নূরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর ও আকবর হোসেন মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক রসিম উদ্দিন ও নাজমা আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রশিদ মন্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নাঈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সোহেল আহমেদ বিপ্লব, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার জুয়েল, নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আহসান কাদের মাহমুদ ভূইয়া।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: