খোন্দকার দেলোয়ারের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৮, ১১:০০ এএম

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব ১/১১’র ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাবির সাবেক ভিসি এমাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মেজ পুত্র এডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, ছোট পুত্র খোন্দকার আখতার হামিদ পবন ও কন্যা ডা. দেলোয়ারা বেগম পান্নাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মেজ পুত্র এডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু ও কন্যা ডা. দেলোয়ারা হোসেন পান্না তাদের বক্তব্যে বলেন, ৭ বছর হয়ে গেল আমাদের পিতা আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু আজও আমরা জানতে পারলাম না সেদিন তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল নাকি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। 
বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যদি কখনো বিএনপি সরকার গঠন করে আমাদের অনুরোধ রইলো আমার বাবার মৃত্যু রহস্য আপনারা রাষ্ট্রীয়ভাবে খুঁজে বের করবেন। 

এই সময় ডাবলু বলেন, আমি সিঙ্গাপুরে যখন আমার বাবার চিকিৎসা চলছিল আমি তার পাশে ফ্লোরিং করে ছিলাম। সবসময় সাথেই থাকতাম। ১৬ মার্চ ডাক্তার আমাকে বলেছিল আপনার বাবাকে কেবিনে নেয়া হবে। সেই সময় কানাডা থেকে আমার বড় ভাই উপস্থিত হলে সে আমাকে বিশ্রামে পাঠালে কিছুক্ষণ পরেই আমার বড় ভাই ও বোন আমাকে ফোনে জানায় বাবার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আমি গিয়ে ডাক্তারের কাছে পৌঁছালে তিনি আমার বাবার মৃত্যুর খবর আমাকে জানান। আমার প্রশ্ন যেই বাবাকে কেবিনে নেয়ার কথা বলেছিল হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটল যাতে করে তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হলো। আমি আশঙ্কা করছি আমার বাবাকে হয়তোবা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। আপনারা জানেন ১/১১’র সেই দুঃসময়ে আমার ছোট ভাইকে ১৭ বছরের জেল দিয়েছিল। তার নির্যাতনের ভিডিও করে আমার বাবাকে আপোস করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। তিনি সেদিন জিয়া পরিবারের সাথে বেঈমানি করেনি। আজ বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আমি জানি না আমার বাবা বেঁচে থাকলে তাকে এতদিন কারাভোগ করতে হতো কি না। তিনি সবাইকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং তার বাবার হত্যা রহস্য উদঘাটনের জন্য নেতৃবৃন্দসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: