‘খালেদার জামিন বিষয়ে আপিল বিভাগ হস্তক্ষেপ করবে না’

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৮, ০৭:৪০ পিএম

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্র মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিষয়ে আপিল বিভাগ হস্তক্ষেপ করবে না বলে আশা করেছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

রবিবার ( ১৮ মার্চ) খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা এ মামলায় অনেকগুলো মেরিট (মামলার বিষয়বস্তু) আদালতকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে অনেক গুলো যুক্তি দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের আদালতের অনেক ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) আমরা আদালতকে দেখিয়েছি। এই অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগ যদি জামিন দেন, সেইক্ষেত্রে সাধারণত আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করেন না।

তিনি বলেন, আমরা এখানে বলেছি সরকার পক্ষ এবং দুদক একত্রিত হয়ে আদালতে যে সাবমিশন দিয়েছেন সেগুলো সবই হলো মেরিটের প্রশ্নে। এবং এখানে আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

আমরা উপমহাদেশের অনেকগুলো ডিসিশন দেখিয়েছি। হাইকোর্ট বিভাগ যদি জামিন দেন, সেই ক্ষেত্রে সাধারণত ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করেন না আপিল বিভাগ। জামিনটি যথাযথ হয়েছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। সে সকল বিবেচনায় আদালত জামিন দিয়েছেন তার মধ্যে খালেদা জিয়ার ৭৩ বছর বয়স।

খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়াকে) বয়সের দিকটা চিন্তা করে জামিন দিয়েছেন। আদালত এক পর্যায়ে দুদকের আইনজীবীকে বলেছেন আপনি কি এই জাজমেন্টের পুরোটা দেখেছেন? এ মামলায় নিন্ম আদালত বলেছে সামাজিক মর্যাদার কথা। অসুস্থতার কথা। সবদিক চিন্তা করে তাকে (খালেদা জিয়াকে) যে সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই সকল বিষয় ও বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করে জামিন দিয়েছেন। উনারা (দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ) কোনো কনডোভার্ট (বিতর্ক) করেন নাই।

আমাদের এবং তাদের সকল কথা শুনে আগামীকাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। তিনি বলেন, আমরা আদালতে যে সকল যুক্তি তুলে ধরেছি। সেগুলো কোনো কন্টোভার্ড করেন নাই। এজন্য আমাদের আশা আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন। আমরা আশা করছি হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখবেন।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সাধারণত ৫ বছরের সাজা পাওয়া মামলায় আদালত জামিন দিয়ে থাকেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেন। এ মামলার আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আকতারুজ্জামান।

পরে হাইকোর্টে খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন প্রার্থণা করেন। শুনানি শেষে ১২ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। সে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদনের শুনানি শেষ করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য আপিল বিভাগ দিন ধার্য করেছেন।

 

বিডি২৪লাইভ/এসআই/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: