বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক ডালমিয়াকে নিয়ে যা বলল শ্রীলঙ্কা!

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৮, ০৩:২৫ পিএম

নিদাহাস ট্রফির ৬ষ্ঠ ম্যাচের শেষ ওভারের ঘটনা। সেই ওভারের প্রথম বলটি ওয়ান বাউন্স সিগন্যাল দেন আম্পায়ার। দ্বিতীয় বলটি প্রথম বলের চেয়ে আরও উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু আম্পায়ার বলটি নো বল দেননি। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন জানান। এ নিয়ে আম্পায়ার ও শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরও আম্পায়ার বলটিকে ‘নো বল’ দেননি। একই সময়ে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের সঙ্গেও তর্কে জড়ান সাইডলাইনে থাকা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নুরুর ইসলাম সোহান।

মাঠের দুই আম্পায়ার কথা বলেন মাহমুদউল্লাহ ও তার সঙ্গী রুবেল হোসেনের সঙ্গেও। আর তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে বাইরে তর্ক জড়ান সাকিব। এ সময় মাহমুদউল্লাহ ও রুবেলকে মাঠ ছেড়ে বাইরে আসার ডাক দেন সাকিব। কিন্তু মাঠ আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে সাকিবের ডাকে সাড়া না দিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। আর সাকিবকে সাইডলাইন থেকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এই ঘটনাকে কেউ বলছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ, কেউ বলছেন অসভ্যতা। সে যাই হোক, নিদাহাস ট্রফিতে শুক্রবারের ঘটনার পর অন্তত শ্রীলঙ্কানদের কাছে ‘ভালো বন্ধু’ আর নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট। বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের ক্ষোভটা এতই বেড়ে গেছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত জগমোহন ডালমিয়াকেও রেহাই দিচ্ছে না। অথচ তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৫ সালে।

কলম্বো থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সাহায্য করার অপরাধে ডালমিয়ার ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাবেক সভাপতি ডালমিয়ার সময়কালে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ওয়ানডে ও ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পায়।

প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটের বড় কর্তা, কলকাতার বিত্তশালী ব্যবসায়ী ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তবে তার দু-একটি সিদ্ধান্ত বড় ভুল ছিল। এর একটি হচ্ছে বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়া। সংবাদ মাধ্যমটির মতে, বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার অপরাধে ডালমিয়াকে মরণোত্তর ১০০০ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া উচিত।

শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত টুর্নামেন্টে স্বাগতিকরাই খেলতে পারেনি, এই ক্ষোভ যেন কিছুতেই ভুলতে পারছে না তারা কিন্তু সেই ক্ষোভ যে মৃত কারও ওপরে প্রয়োগ করবেন সেটা অবাক করার মতোই।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: