দাফনের ১১ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম

মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম,ময়মনসিংহ থেকে

 

ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ১১ দিন পর তার লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ সোমবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ল²িপুরের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিউলী হরি নিহতের লাশ উত্তোলন করেন।

পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় মামলার বাদী ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পলাশ কুমার রায়সহ ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুলিশের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজ
বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক মাসুদুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের দির্দেশ দেন।

রোববার শাওন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক রাজিবুল হাসান প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলো সঞ্জয়, পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রোববার রাতে ময়মনসিংহ শহরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাওনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার মারা যায় সে। 

নিহত ছাত্রলীগ নেতার পিতা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি নিয়ে পরদিন শুক্রবার নামাজে জানাযা শেষে ফুলবাড়ীয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে শাওনের লাশের দাফন
সম্পন্ন হয়। রহস্যজনক কারণে শাওনের পরিবার থানায় কোন মামলা করেনি। 

এদিকে শাওন হত্যা নিয়ে ময়মনসিংহ জুড়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য চলতে থাকে। গণমাধ্যমে
খবর প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করা হয়। এসবের এক পর্যায়ের পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।


বিডি২৪লাইভ/এসএস
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: