বই পড়ে আর ইউটিউব দেখে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জেনেছি

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৮, ১১:০৫ পিএম

অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে পেয়েছেন বেশ প্রশংসা। ছবি গুলো দেশে সহ দেশের বাইরেও বেয়েছে নানা সম্মাননা। এবার নতুন আরো এক মিশনে এই নির্মাতা। বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে নির্মাণ করছে ‘ফাগুন হাওয়া’ নামের চলচ্চিত্র। এ খবর সবারই জানা। তবে নতুন খবর হলো এই ছবিতে অভিনয় করছেন বলিউড যশপাল শর্মা।

বিডি২৪লাইভের সাথে কথা হলো এই বলিউড অভিনেতার। জানালেন অভিনয় ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়-

বিডি২৪লাইভ: কেমন আছেন আপনি?
যশপাল শর্মা: হুম...ভালো আছি।

বিডি২৪লাইভ: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসলেন, কেমন লাগছে? 
যশপাল শর্মা: হুমম ইটস গ্রেট! আমি যে বলার জন্যেই শুধু বলছি তা নয়, আমি সত্যিই এটা অনুভব করছি। ফিলিং গ্রেট! মনে হয়, এই ছবিটি ভাল একটি ছবি হতে যাচ্ছে। আর আমি খুবই খুশি যে, সুন্দর একটি ছবির সাথে যুক্ত হতে পেরেছি।

বিডি২৪লাইভ: কখনো কি বাংলাদেশী ছবি দেখা হয়েছে?
যশপাল শর্মা: না তেমন ভাবে দেখা হয়নি। তবে আমি দুটি ছবি দেখেছি-তৌকির আহমেদের ‘হালদা’ আর ‘অজ্ঞাতনামা’। অজ্ঞাতনামা‘তে অভিনীত অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এই ছবি দুটি দেখার পর আমি তিশা আর বাবুর ভক্ত হয়ে গেছি। দুটি ছবি বলা যায় তেমন বানিজ্যিক ফিল্ম না। আমার প্রিয় পরিচালকের নাম কিন্তু ইরানের মাজিদ মাজিদী। তাই ‘হালদা’ আর ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবি দুটি নিমার্ণের মুন্সিয়ানার জন্য আমি তৌকিরকে বাংলাদেশের ‘মাজিদ মাজিদী’ই বলবো।

বিডি২৪লাইভ: ছবিটি যেহেতু বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের আবহে নির্মিত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন বিষয়ে আপনি কতটুকু জানেন?
যশপাল শর্মা: এই ছবিটি করতে গিয়ে তৌকির ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে দেখিয়েছে। সেই সময় যেটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচাইতে বড় সমস্যা। তৌকির এই চ্যালেঞ্জিং বিষয়টা নিয়ে ছবি করছে। আসলেই সে গ্রেট! আমি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন বিষয়ে তেমন করে জানি না। তবে বই পড়ে আর ইউটিউব দেখে জেনেছি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে এত বড় আন্দোলন আমার জানা মতে পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা কিম্বা দেশে-দেশে লড়াই হয়েছে অন্য ইস্যু নিয়ে কিন্তু ভাষাকে নিয়ে এত বিরাট আন্দোলন শুধুমাত্র বাংলাদেশেই হয়েছে। এটা আসলেই বিস্ময়ের! তখনকার সময়ে অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর ভারতের কার্যক্রম সম্পর্কে আমি জেনেছি। আমি ‘মুক্তি’ নামক শর্টফিল্মে পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম।

বিডি২৪লাইভ: নির্মাতা হিসেবে তৌকির আহমেদ কেমন ? 
যশপাল শর্মা: তৌকির খুবই ভাল একজন নির্মাতা। খুবই জানা-বোঝা একজন লোক। যখন আমি হাতে স্ক্রীপ্ট পাই তখন সেটি পড়ে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যাই। একি পরলাম আমি! আসলেই এটি একটি ব্রিলিয়ান্ট গল্পের ব্রিলিয়ান্ট ফিল্ম। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন একটি বড় ইস্যু। তৌকির অনেক চৌকসের সাথে এই গল্পটি ভেবেছেন। আমি সত্যিই তার প্রতি অনেক খুশি। সিরিয়াস বিষয়কে তিনি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার সাহস দেখিয়েছেন। চার্লি চ্যাপলিনও কিন্তু অনেক সিরিয়াস ইস্যুকে অনেক সহজ করে দেখেয়েছেন। আমি মনে করি তার নির্মিত এই ছবিটি ফিল্ম জগতে ভাল একটি সাড়া ফেলবে। তার অজ্ঞাতনামা বলা চলে অসাধারণ একটি নির্মাণ।

বিডি২৪লাইভ: বলিউডের বাংলাদেশের ছবির মধ্যে কী পার্থক্য বলে আপনি মনে করেন? 
যশপাল শর্মা: আমি এভাবে পার্থক্য করি না। কিছু ছবি তৈরি হয় অনেক বড় বাজেট থাকে। আবার কিছু ছবির বাজেট থাকে কম। কম বাজেটেও অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হওয়ার নজির আছে। লো বাজেটের ছবিতে একটা স্ট্রাগল থাকে। সেটা করছে বাংলাদেশ ও এখানকার সিনেমার লোকেরা।

বিডি২৪লাইভ: অভিনয় করতে গিয়ে ভাষাগত কোন সমস্যার পড়তে হয়েছে?
যশপাল শর্মা: আমি মনে করি, ‘সিনেমা হ্যাজ নো ল্যাংগুয়েজ’। অনেক দেশের অনেক ভাষা, কিন্তু সিনেমার কোন ভাষা নেই। এই ছবিটিতে আমার সহশিল্পীরা অনেক হেল্পফুল ছিল। নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই অনেক বেশী আন্তরিক। তাই তেমন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি।

বিডি২৪লাইভ:  সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । 
যশপাল শর্মা: ধন্যবাদ আপনাদের, ধন্যবাদ বাংলাদেশ।

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত হবে ছবিটি। এটি টিটো রহমানের ছোট গল্প ‘বউ কথা কও’ এর অনুপ্রেরণায় নির্মিত হবে। ছবিতে নায়ক হিসেবে থাকছেন টিভি পর্দার অভিনেতা সিয়াম আহামেদ। পাশাপাশি নায়িকা হিসেবে থাকছেন তিশা।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: