আবারও সন্ত্রাসীদের আনাগোণায় উত্তপ্ত দক্ষিণাঞ্চল

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৮, ০৭:৫৭ এএম

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ২ দিনের ব্যবধানে কলিমহর ও পাট্টা ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে একই রাতে বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামে পাশাপাশি ৩টি বাড়িতে গণচুরি সংঘটিত হয়েছে। 

১৮ মার্চ (রবিবার) কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে মৃত ছানারুদ্দিন মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পুত্র ফরহাদ হোসেন ও তার মাকে গুরুতর আহত করেছে। পাংশা হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত চিকিৎসাধীন ফরহাদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন রাতে আমি রাতের খাবার খেয়ে আমার ঘরে ঘুমানোর প্রাক মুহূর্তে ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে আমার নাম ধরে ডাকতে থাকে। 

আমি ঘর থেকে বের না হওয়ায় দুটি ফাঁকা গুলি করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমি কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার মা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। বুধবার পাংশা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মা-ছেলে উভয়েই হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। 

সন্ত্রাসী হামলায় ফরহাদের দুটি পা ভেঙ্গেছে, মাথায় ৫টি সেলাই ও তার মায়ের মাথা ফেটে গেছে। ফরহাদ জানায়, সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় তার কাছে একটি কাগজে লেখা মোবাইল নম্বর ধরিয়ে দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। 
অপরদিকে ২১ মার্চ রাত অনুমান ১টার দিকে পাট্টা ইউনিয়নের জোনা পাট্টা গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রশিদ (ছিন্টু)’র বাড়িতে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ নেতা ছিন্টুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির প্রবেশ গেইট, ঘরের বেড়া, বারান্দার বেসিন, পানির লাইন, স্টীলের র‌্যাক ও বারান্দায় থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় ছিন্টরু শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। রাতেই পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

এ ঘটনায় ছিন্টু বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। যার নং-৮৮১, তাং-২১/০৩/২০১৮। অন্যদিকে ২১ মার্চ রাতে উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত আমির উদ্দিন মুন্সীর পুত্র জিলানি মুন্সী, মৃত হাছাই মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল ও ইউপি সদস্য ইউনুচ আলীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির ঘটনায় জিলানি মুন্সীর নগদ ৯০ হাজার টাকা, খালেক মন্ডলের ২টি মোবাইল ফোন, ইউনুচ মেম্বারের ২টি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। 

এ ব্যাপারে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোফাজ্জেল হোসেন বিডি২৪লাইভকে জানান, কলিমহরের ঘটনা কেউ মামলা করেনি, আমরা নিজেদের দিক থেকে এসকল ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: