সম্মান বাঁচাতে ছয় তলা থেকে মডেল কন্যার ঝাঁপ
কেনো এমনটা করতে গেলেন এই মডেল তরুণী? জানা গেছে এক ধনী বিদেশি বেশ কয়েক দিন যাবৎ তাঁকে অনুসরণ করছিল। সুন্দরী একাতেরিনার সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়াই ছিল সেই ব্যক্তির একমাত্র মতলব। আর তার হাত থেকে বাঁচতেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সুদূর রাশিয়া থেকে এক মাসের মডেলিং চুক্তিতে দুবাই গিয়েছিলেন ২২ বছরের মেয়েটি। গত এক মাস ধরে দুবাইয়ের এক হোটেলেই বাসা বেঁধেছিলেন রুশ মডেল একাতেরিনা স্তেতসউক। এবং সেখানেই ঘটে গিয়েছে তাঁর জীবনের সব থেকে বড় দুর্ঘটনা।
চলতি মাসের তিন তারিখ, দুবাইয়ের হোটেলের ছ’তলার ঘর থেকে ঝাঁপ মারেন রুশ মডেল একাতেরিনা। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। মডেলের এক বান্ধবী, ইরিনা গ্রসম্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, একাতেরিনার মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু, আস্তে আস্তে তিনি সেরে উঠছেন।
কিন্তু, এমন করতে গেলেন তরুণী? আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক ধনী বিদেশি বেশ কয়েক দিন যাবৎ তাঁকে অনুসরণ করছিল। সুন্দরী একাতেরিনার সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়াই ছিল সেই ব্যক্তির একমাত্র মতলব। এবং ওই দিন, তাঁর হোটেলের ঘরে ঢুকে তাঁকে রীতিমত ভয় দেখায় লোকটি। একাতেরিনা সেদিনও লোকটির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, শেষে তাঁর গলায় ছুরি ধরে। নিজের সম্মান বাঁচানোর আর কোনও উপায় না দেখে, ছ’তলার ঘর থেকেই ঝাঁপ মারেন একাতেরিনা।
এ ব্যাপারে একাতেরিনার মা সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-কে জানান যে, দুবাই পুলিশ একাতেরিনাকেই গ্রেফতার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের মতে, একাতেরিনা নাকি ‘এসকর্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নাকি তিনি আক্রমণ করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, দুবাইয়ের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি।
কে যে আসলে ঠিক বলছেন, তা নিয়ে স্বভাবতই সংশয়ে রয়েছে সকলে। এখন অপেক্ষা একাতেরিনার সুস্থ হয়ে ওঠার। তার পরেই শুরু হবে তদন্ত।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: