শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করতে পুত্রবধূকে জোর করা যাবে কি? 

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:৩৬ পিএম

আমাদের সমাজে মেয়েরা বিয়ের পর সাধারণত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করেন। এ কারণে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে পুত্রবধূই দেখাশুনা করেন। হ্যাঁ, সমাজে এমন কিছু পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ি আছে যাদের একে-অপরের সঙ্গে বনি-বনা হয় না। এ জন্য সংসারে একটু সমস্যা দেখা দেয়। তাই অনেকে আলাদা বাসায় থাকেন। আবার অনেক বাবা-মা আছেন যাদের ছেলে কিংবা পুত্রবধূর চাকরির সুবাদে আলাদা জায়গায় থাকতে হয়। এ কারণে তারা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেই ভাবে সেবা যত্ন করতে পারে না। চলুন জেনে নেয়া যাক এ ব্যাপারে ইসলাম ধর্ম কি বলে-

এমনই একটি প্রশ্ন করা হয় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’ এ। এই অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

প্রশ্ন: ইসলামে শ্বশুর-শাশুড়ির সেবার বিষয়ে কি নির্দেশনা রয়েছে?

উত্তর: শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করা নফল ইবাদত। তবে পুত্রবধূ যদি শ্বশুর-শাশুড়িকে মন থেকে সেবা করতে না চায় তাহলে তাকে জোর করা যাবে না।

হাদিসে বর্ণিত আছে, যে বড়দের সম্মান করে না বা ছোটদের স্নেহ করে না সে আমার উম্মত না। শ্বশুর-শাশুড়ি অবশ্যই সেবা পাওয়ার উপযুক্ত। শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে পুত্রবধূ মেয়ের মতো। আবার শ্বশুর-শাশুড়িকেও পুত্রবধূর সঙ্গে মেয়ের মতো ব্যবহার করতে হবে। তার সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করা যাবে না।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: