যেখানে ভাইয়ের স্ত্রীকে অন্য ভাইয়েরাও গ্রহণ করতে পারেন!
পৃথিবীর কিছু দেশে বিয়ের ক্ষেত্রে এমন অদ্ভুত নিয়ম-কানুন পালন করা হয়,যা আপনার হাসির খোরাক দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে অবাক করে দেবে। বিয়ে নিয়ে অসংখ্য অজানা, অদ্ভুত রীতি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের, এমনকী আমাদের দেশের আনাচে কানাচেও। চলুন জেনে নেই সেসব অদ্ভুত রীতি নীতি গুলো-
১) বিয়ের কনের পরণে সাদা শাড়ি। আমরা ভাবতে পারিনা, কিন্তু ইংরেজদের বিয়ের গাউন হয় সাদা রঙেরই। তাঁদের কাছে সাদা কুমারিত্বের প্রতীক।
২) নাচ-গান হই-হুল্লোড় ছাড়া আমাদের বিয়ে অসম্পূর্ণ। কিন্তু ডেনমার্কে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় আড়ম্বরহীন। কারণ তাঁদের ভয়, জাকজমক দেখে আশরীরীরা নাকি ছুটে আসবে।
৩) বিয়ের দিন, ওয়েলশ-এর পুরুষরা নিজের হাতে কাঠ কেটে, একটি চামচ তৈরি করে উপহার দেন বউকে।
৪) চিনার ‘তুজা’ প্রজাতির মেয়েরা বিয়ের মাসখানেক আগে থেকেই রোজ ১ ঘন্টা করে কাঁদা প্র্যাকটিস করেন। বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কাঁদতে হবে না। আর তাঁদের এই প্র্যাকটিস সেশনে উৎসাহ যোগান মা, মাসিমা, দিদিরা। তাঁরাও মেয়েটির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে কাঁদতে বসেন।
৫) বিয়ের পিড়িতে বসার আগে মাসাই পাত্রদের সিংহের সঙ্গে যু্দ্ধ করে, কনেকে উপহার দিতে হয় সেই মৃত সিংহের চামড়া। (অবশ্য পাত্র যদি নিজে প্রাণে বাঁচেন তাহলে)
৬) হবু শ্যালকের জন্য পাত্রী খোঁজার পরই একজন পিগমি যুবক বিয়ের আসনে বসতে পারবেন। সেই পাত্রী আবার হতে হবে তারই কোনও আত্মীয়া।
৭) মঙ্গোলিয়ার ‘দাউর’ প্রজাতির মধ্যে প্রচলিত-বিয়ে পাকা করতে বর-কনের প্রথম কাজ হল, ধারালো ছুরি দিয়ে যৌথভাবে একটি জ্যন্ত মোরগ ছানাকে বলি দেওয়া।
৮) উত্তর ভারতের ‘খগ’ প্রজাতিতে বিয়ের আগে দু’পক্ষের আনা দু’টি মোরগের জিভ কেটে পাত্র-পাত্রীর কুষ্ঠী বিছার করা হয়।
৯) অসমের ‘গোরো’ প্রজাতিতে যে-পাত্র সবথেকে বেশি সংখ্যক খুলি দিয়ে গাঁথা মালা উপহার দিতে পারবে কনেকে, সেই জয়ী।
১০) উত্তর প্রদেশের ‘খস’ প্রজাতিতে বাড়ির একটি ছেলে বিয়ে করলেই, তাঁর ভাইয়েরাও সেই মেয়েটিকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। একে বলে ‘দৌপদী বিবাহ’।
১১) কোরিয়ায় বিয়ের রাতে নতুন বরের পুরুষত্ব জাগিয়ে তুলতে তাঁর বন্ধুদের কাজ হল- বরের পা বেঁধে, মাছের লেজ ও পাখনা দিয়ে পায়ের পাতায় আঘাত করা।
১২) কঙ্গো দেশে বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকেন একজন কৌতুকাভিনেতা। তিনি নিমন্ত্রিতদের হাসাবেন, তাঁরা হাসবেনও। কিন্তু বর- কনের হাসা মানা।
১৩) ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ায় বিয়ের শেষে অতিথিরা সারি বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। তাঁদের উপর দিয়ে অবলীলায় হেঁটে যান নবদম্পতি।
১৪) বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের পর একটি কাচের পাত্র ভেঙে ফেলেন ইতালিয় নবদম্পতি। তারপর সেই ভাঙা পাত্রটির প্রতিটি খণ্ড গুনে গুনে কুড়িয়ে তুলতে হয়। যত গুলো টুকরো, ততবছর তাঁদের বিবাহিত জীবনের মেয়াদ। এমনটাই মনে করেন ইতালিয়রা।
১৫) উত্তর বোর্নিওতে বিয়ের পর বর বউকে তিন দিন, তিন রাত একটি ঘরে একসঙ্গে বন্ধ করে রাখা হয়। এই সময়ে তাঁদের বাথরুমে প্রবেশ করাও নিষেধ।
১৬) প্রায় একই হাল হয় সুইডেনে সদ্যবিবাহিতদের। বিয়ের পর বাসর রাতে কেউ কারও পাশ ছেড়ে উঠতে পারবেন না। বর উঠলে, বাসরে থাকা অন্য পুরুষেরা কনেকে চুমু খাবেন, আর কনে উঠলে মহিলারা চুমু খাবেন বরকে।
১৭) বিয়ের আগে সাধারণত মেয়েরা ওজন কমাতে চান। কিন্তু আফ্রিকার এক অঞ্চলের বাসিন্দারা মনে করেন, মেয়ে যত মোটা, তত সুন্দরী। তাই কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেখানে বিয়ের কনেকে পৃথুলাকায় করে তুলতে ছিল বিশেষ ’ফ্যাট ফার্ম’।
১৮) প্রায় সব সম্প্রদায়েই সন্তানসম্ভবাদের ‘সাধ’ খাওয়ানোর রীতি প্রচলিত। কিন্তু মালয়েশিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের সব ধাপেই থাকে সন্তানধারণের ইঙ্গিত। বিয়ের আগে, বরের তরফ থেকে কনের জন্য পাঠানো হয় সাধের খাবার ও উপহার। বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের দেওয়া হয় রঙীন ডিম, যা সন্তানধারণেরই চিহ্ন।
১৯) বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ সুদানের বিবাহিতাদের দু'টি সন্তান জন্ম দেওয়া আবশ্যক।
বিডি২৪লাইভ/আরআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: