নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ, মুখ খুললেন ওবায়দুল

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৮, ১০:০১ পিএম

বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা কথা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও বহু মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রকট যে, প্রতিবেশী বৃহৎ এই দেশটির সুনজর রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার (২২ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে ভারত সফরে। এই সফরকে ঘিরে ঔৎসুক্য রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধিদল ভারতের নয়া দিল্লি সফরে যাবেন। আলোচিত এই সফরের আগের দিন শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন কাদের।

বক্তব্যে ‘ভারত কখনও অন্য দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি এটি ভারতীয় রাজনীতির ‘সৌন্দর্য’ হিসেবে দেখছেন।

‘ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেসির (গণতন্ত্রের) একটা বিউটি (সৌন্দর্য) আছে। তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে খুব দৌড়াদৌড়ি করে। অনেক দেশ ছোটাছুটি করে। ইন্ডিয়া এইগুলো করে না।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন,  ‘এটি মূলত পার্টি টু পার্টি প্রোগ্রাম। এখানে তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া বাড়বে। স্বার্থ ছাড়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। দুই দেশেরই স্বার্থ আছে। তবে ইন্ডিয়া মোর দেন এ নেইভার (প্রতিবেশী)। বাংলাদেশের তিন পাশজুড়ে যার অবস্থান, সেই দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে হবে না। আলাপ-আলোচনা করে কাজ করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। জনগণ কাউকে ভোট দিলে কোনো দেশ এসে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবে না। আর বিজেপিও এসে আমাদের জন্য ভোট চাইবে না, চাইতেও পারবে না।’

রবিবার ভারত যাওয়ার পর রাতে বাংলাদেশি দূতাবাসের আয়োজনে নৈশ্যভোজে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগের নেতারা। পরদিন সকালে ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পার্লামেন্ট অধিবেশন পরিদর্শন করবে প্রতিনিধি দলটি।

পরে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা এম জে আকবরের দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা।

পরে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে নৈশভোজে অংশে নেবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। তিন দিনের এই সফর শেষে ২৪ এপ্রিল ঢাকার উদ্দেশে নয়া দিল্লি ছাড়বে প্রতিনিধি দলটি।

যারা ভারত সফরে যাচ্ছেন

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়া যারা ভারত যাচ্ছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও যাচ্ছে কাদেরের সঙ্গে।

দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নির্বাহী সদস্য গোলাম কিবরিয়া রাব্বানী চিনুও আছেন প্রতিনিধি দলে।

 

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: