মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনি হত্যা, নেপথ্যে মোসাদ

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:২৩ পিএম

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে রাস্তায় ফিলিস্তিনি এক শিক্ষক ফাদি আল-বাৎশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার বলেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আছে।

মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারাও বলেছেন, সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা শ্বেতাঙ্গ এবং একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত বলে তারা ধারণা করছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ ঘটনা নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেননি।

মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী ফাদি মুহাম্মাদ আল-বাত্‌শ নামে এক ফিলিস্তিনি প্রভাষককে দুই বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করেছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরে নিজ বাড়ির সামনে মোটর সাইকেল আরোহীরা ফাদি মুহাম্মাদের ওপর গুলি চালায়।  

কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান মাজলান লাজিমের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামা বলছে, সন্ত্রাসীরা প্রভাষককে লক্ষ্য করে ১০ রাউন্ড গুলি চালায় যার মধ্যে চারটি তার মাথায় ও দেহে লাগে। তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, প্রভাষক ফাদি মুহাম্মাদের আসার জন্য সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করেছে। ফাদি মুহাম্মাদ ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়তে মসজিদে যাওয়ার জন্য বাড়িরে বাইরে বের হলে সন্ত্রাসীরা তার ওপর গুলি চালায়। তিনি কয়েক বছর ধরেই মালয়েশিয়ায় বাস করছিলেন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎপ্রকৌশলের প্রভাষক ছিলেন। 

মালয়েশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নিহত ব্যক্তিকে আক্রমণকারীরা ছিল শ্বেতাঙ্গ এবং তাদের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ ছিল। ইসরায়েল অতীতেও হামাসের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে হত্যা করেছে।

হামাস অভিযোগ করে ২০১৬ সালে তাদের একজন ড্রোন বিশেষজ্ঞ এবং তিউনিসিয়ান নাগরিক মোহাম্মদ জাওয়ারিকে তার গাড়িতে বসা অবস্থায় গুলি করে হত্যার ঘটনার পেছনে মোসাদ ছিল।

এছাড়া দুবাইয়ে একটি হোটেলে হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাবহার মৃত্যুরঘটনার পেছনেও মোসাদের হাত ছিল।

এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে জর্ডনে মোসাদের এজেন্টরা হামাস নেতা খালিদ মিশালের কানের ভেতর বিষ ছিটিয়ে দিয়ে হত্যার এক ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।

ইসরায়েল বা মোসাদ কখনোই এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেনি। বিবিসি, পার্সটুডে


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর


 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: