২৫০ শিক্ষার্থীকে বাদ রেখেই পরীক্ষা! 

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:৫৪ পিএম

আপিল বিভাগের (ডিরেকশন) নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ‘গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সে ২৫০ শিক্ষার্থীকে ছাড়াই পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।এতে এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

রবিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ল’রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বগুড়া এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে বগুড়া এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজ যাত্রা শুরুর পর থেকে ১৫টি ব্যাচ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। কলেজ অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের হঠাৎ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনলাইন কোড বন্ধ করে দেয়। এতে এই সেশনে ভর্তিকৃতদের পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুলসহ একটি আদেশ দেন। যেই আদেশে এসব পরিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সেই আবেদনের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আদালতের এই নির্দেশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৫০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেয়। পূর্ব প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে এই কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা। সেই লক্ষ্যে গত শনিবার অন্যান্য কলেজকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হলেও আমাদের কলেজের ২৫০ শিক্ষার্থীকে কোনকিছুই দেয়া হয়নি। তাই এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে এই কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। তখন বিশিষ্ট পরমাণু ‍বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কলেজটির উদ্বোধন করেছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: