আহ্! সাদিয়া

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১১:২২ পিএম

টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শিলখালীতে সাদিয়া সুলতানা ওম্মী নামের ৮ বছরের এক শিশু কন্যার লাশ লতা দিয়ে পেচানো রক্তাক্ত ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাদিয়াকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে পাহাড়ে গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

সাদিয়া সুলতানা ওম্মী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী গ্রামের শফি উল্লাহর মেয়ে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউছুফ নামক এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন ও টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া দু’জনই বলেছেন ‘ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে পাহাড়ে গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখার কথা লোক মুখে শোনা গেলেও ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না’।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ২১ এপ্রিল সকাল ১০টায় শফি উল্লাহ তার বাড়িতে কাজ করা স্থানীয় দিন মজুর ইউসুফের বাড়িতে বউয়ের কাছে মজুরির পারিশ্রমিক হিসাবে ৫০০ টাকা সাদিয়ার দ্বারা পাঠান। তবে সে সময় ইউসুফ শফিউল্লাহর বাড়িতে মজুরির কাজে ব্যস্ত ছিল। পরবর্তীতে সন্ধ্যা যাবত সাদিয়া বাড়িতে ফিরে না আসায় পিতা শফি উল্লাহর সন্দেহ হয়। পরে ইউছুফের বাড়িতে খোঁজ খবর নেওয়ার পরও সাদিয়াকে না পেয়ে পিতা শফিউল্লাহ সারা রাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পর দিন ২২ এপ্রিল অনেক খোঁজাখোঁজির পর এক পর্যায়ে স্থানীয় গভীর পাহাড়ে দুপুর ১টার দিকে লতা দিয়ে পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় রক্তাক্ত অর্ধগলিত সাদিয়ার লাশ পাওয়া যায়। লোমহর্ষক বর্বর এ ঘনার খবর পেয়ে দলে দলে নারী-পুরুষ গহীন বনে হতভাগ্য সাদিয়াকে দেখতে ভীড় জমায়। আর এদিকে সাদিয়ার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, ‘বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ততের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিন মজুর মোঃ ইউছুফকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে’।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে পাহাড়ে গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখার কথা লোক মুখে শোনা গেলেও ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের বিষয়টি ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক আটক দিন মজুর মোঃ ইউছুফকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে’।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: