‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবকিছু করবো’

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:০২ পিএম

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমরা সবকিছু করবো। আর এ আইনে যেখানেই সংশোধন করা প্রয়োজন হয় সেখানেই পরিবর্তন করা হবে। প্রস্তাব দানকারী সবগুলো সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটি এমনভাবে সংশোধন করা হবে যাতে কেউ ভিত হবে না।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নেতাদের সাথে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বিষয়ে প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ওনাদের বলেছি, এডিটরস কাউন্সিল, এ্যাটকো এবং বিএফইউজে এ আইনের বিষয়ে প্রস্তাব রাখতে চায় বা উদ্বেগ প্রকাশ করতে চায় এ সংসদীয় কমিটি বিবেচনা করবে। বিষয়গুলো নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হতে পারে। সেখানে আলোচনা হলেই মনে হয় এর সব সমাধান হতে পারে।’

বিএফইউজের দেয়া প্রস্তাব আপনি যৌক্তিক মানেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই যৌক্তিক। আমি এর আগেও বলেছি।’

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘বিএফইউজের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্বেগের কথা জানাচ্ছিলাম। তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছিল আমাদের কোন নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা থাকলে তা যেন তাদের কাছে জমা দিতে বলেন। এরপর তারা বলেন সংসদীয় রীতিনীতির পদ্ধতি যে আছে সেই অনুযায়ী তারা বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি ও আমাদের মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূধন মন্ডল এবং নির্বাহী সদস্য ইসতিয়াক রেজা আমরা আজ লিখিত একটি মতামত আইনমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা বিভিন্ন ধারা সম্পর্কিত আমাদের ১০টি পর্যবেক্ষণ আছে। এবং একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আছে। আমরা এভাবে গতকাল জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছেও একই প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। তিনি বলেছেন বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে। কাজেই তার সাথে আজ আমরা কথা বললাম।’

‘তিনি আমাদেরকে বলেছেন এ লিখিত প্রস্তাবনা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও যেসব প্রস্তাবনা পাওয়া গেছে সেগুলো তিনি সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বুলবুল আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রস্তাবনায় বলেছি, আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সেফটি নেট সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেমন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় তেমনি এ আইনটি যদি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হয় তাহলে প্রাথমিকভাবে প্রেস কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে একটি কাউন্সিল থাকা জরুরি। যেখানে সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন, ডিইউজে ও গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ থাকবেন তারা কোন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চাইলে তারা যেন প্রাথমিক বিষয়গুলো বিবেচনা করেন।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: