কানাডায় সড়কে ভ্যান উঠিয়ে ১০ পথচারীকে হত্যা

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:০৯ এএম

একটি ব্যস্ত রাস্তার ধারে পথচারীদের ওপরে গাড়ি উঠিয়ে কানাডার টরেন্টো শহরে সোমবার (২৩ এপ্রিল) ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও অন্তত ১৬ জন।

দেশটির পুলিশপ্রধান মার্ক সন্ডার্স বলেন, চালক ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাকে আগে চিনত না পুলিশ। তিনি বলেন, এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক অস্বীকার করছি না। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো সংযুক্ততা পাওয়া যায়নি।-খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। পুলিশপ্রধান বলেন, এই বিশেষ দুর্ঘটনার আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানতে আমরা জোরালো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

রেজা হাশেমি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গাড়িটি খুব দ্রুতবেগে চলছিল। তিনি খুব জোরে চিৎকার শুনতে পান। তিনি জানান, সাদা একটি গাড়ির চালক ফুটপাথে কয়েকবার গাড়িটিকে উঠিয়ে পথচারীদের চাপা দেন। গাড়িটি ভাড়া করা বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। গাড়ির চালক ২৫ বছর বয়সী অ্যালেক মিনাসিয়ান শুরুতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

কয়েক রাস্তা পর অবশ্য তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। হামলাকারী এখন পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। সে একজন কলেজশিক্ষার্থী বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা গেছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি কেবল একটি পাতাল রেলস্টেশন থেকে বের হয়েছি, তখন দেখি এক উন্মত্ত ব্যক্তি একটি ভাড়া করা ভ্যান দিয়ে একজনের পর একজন মানুষকে আঘাত করছে। আরেকজন বলেন, চালক যখন দ্রুতগতির ভ্যানটি একেকজনের ওপর উঠিয়ে দিচ্ছে, তখন লোকজন চিৎকার করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছেন।

বেশ কটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারের আগে হামলাকারী পুলিশের দিকে কিছু একটা তাক করে আছেন। সে তখন বলছিল, আমাকে গুলি করো- আমার মাথা বরাবর গুলি করে আমাকে হত্যা করো। আমার পকেটে বন্দুক আছে। আমাকে গুলি করো।

এর পরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে, মরদেহ ব্যাগে ভরা হচ্ছে এবং পুলিশ আক্রান্ত মানুষজনকে সহায়তা করছে। এ ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে বসেছিলেন।

ইউরোপের বেশ কটি দেশে একই ধরনের হামলার বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে গাড়ি হামলায় আটজন নিহত হন। এই হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ বলেন, কর্তৃপক্ষ ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণে কাজ করছেন। কিন্তু শহর এখন নিরাপদ। হামলার শিকার অধিকাংশকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে সোমবার বিকালে আমি এক মর্মান্তিক ও নির্মম হামলার কথা শুনেছি। সব কানাডীয় নাগরিকের তরফে আমি হৃদয়ের গভীর থেকে নিহতদের প্রতি শোক জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুতই সেরে উঠবেন বলে আশা করছি। 

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: