এলএনজি নিয়ে দেশে ভিড়ল বিশাল জাহাজ

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ০৭:৩৫ পিএম

দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রথম চালান নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে বিশেষায়িত জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’। এলএনজি আমদানি ও এ ধরনের বিশাল জাহাজের আগমন বাংলাদেশে এটাই প্রথম।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে এলএনজির চালানটি নিয়ে মার্কিন কোম্পানির এই বিশাল জাহাজটি মাতারবাড়ী উপকূল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নোঙর করে।

এক্সিলেন্সের স্থানীয় এজেন্ট সিকম শিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক জহুর আহমেদ জানান, ২৭৭ মিটার লম্বা, ৪৪ মিটার প্রস্থ এবং ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) এ জাহাজে রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস।

বন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ এর আগে আর আসেনি। এটি সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ।

জাহাজটি পরে ব্যবহৃত হবে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবে। উপকূল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। এর মালিক বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি ১৫ বছর জাহাজ ভাড়া পাবে। এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসকে শীতলীকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে তরলে (এলএনজি) পরিণত করা হয়।

এক্সিলেন্সের জাহাজে এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

এরই মধ্যে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইনের কমিশনিং (গ্যাস ঢুকিয়ে সফল পরীক্ষা) সম্পন্ন হয়েছে। এখন আনোয়ারা থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, যদি সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাইপলাইন তৈরির কাজ শেষ না হয় তবে আপাতত এলএনজি থেকে পাওয়া গ্যাস শুধু চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: