আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১২:১২ পিএম


গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপি দাবি জানিয়ে এলেও সেনা ছাড়া চার দিনের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োগের পরিকল্পনা সাজিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ দুই নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আইন শৃঙ্খলা বৈঠক করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবও উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশ মহা পরিদর্শক, বিজিবি-র‌্যাব-আসনার ও ভিডিপি-ডিজিএফআই এনএসআই এর মহাপরিচালক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক; ঢাকা ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত সভার বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয় নি।

বিএনপি বরাবরই এ দুই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দলটির প্রতিনিধি দলও লিখিত প্রস্তাব দিয়ে এসেছে।

এ প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাও কমিশনের নেই।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির একজন উপ-সচিব বলেন, সেনাবাহিনীকে কোনো সিটি ভোটে মোতায়েন করে নি বর্তমান কমিশন। এবারও আইন শৃঙ্খলার কর্মপরিকল্পনা তাদের রাখা হয় নি। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ সংশ্লিষ্ট নিয়মিত বাহিনী দিয়েই পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।

বৈঠকের পরে পরিস্থিতি পর‌্যালোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হবে বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।
নির্বাচন
প্রতি কেন্দ্রে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ২২ থেকে ২৪ জন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
পুলিশ-এপিবিএন-আনসার ব্যাটালিয়ান নিয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স গাজীপুরে ১৯ টি ও খুলনায় ১০টি টিম; র‌্যাব এর ৫৭টি টিম গাজীপুরে ও খুলনায় ৩১টি টিম; বিজিবি থাকবে গাজীপুরে ২৯ প্লাটুন; খুলনায় ১৬ প্লাটুন।

নির্বাহী হাকিম থাকবে সব মিলিয়ে গাজীপুরে ৮৬ জন গাজীপুরে; খুলনায় ৪৯ জন। বিচারিক হাকিম গাজীপুরে ১৯ জন ও খুলনায় ১০ জন
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ । গাজীপুর সিটি করপোরেশনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মলকে এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর প্রথম ধাপে গাজীপুর ও খুলনার তফসিল দেওয়া হল।

বিডি২৪লাইভ/এএস/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: