আঞ্চলিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দলে ঘরছাড়া ৫৬ পরিবার

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:০৫ পিএম

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দলে ও হুঁমকির কারণে উপজেলার বঙ্গলতলী, সাজেক, রূপকারী, বালুখালী, ডাংগাছড়া, হাগলাছড়া, করেঙ্গাতলী ও বি-ব্লক এলাকার প্রায় ৫৬টি পরিবার ঘরছাড়া হয়ে উপজেলার সদরে বাবু পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্থানীয় থানা ও সূত্রগুলো এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রীতদের চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ। কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে তা তারা খুঁজে পাচ্ছে না। কেউ বলছেন, জেএসএস সংস্কারের ভয়ে ঘর ছাড়া।আবার কেউ বলছেন ইউপিডিএফ এর ভয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে গৃহপালিত গরু-ছাগল এবং নিজেদের সোনার সংসার ফেলে অসহায়ের মতো জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করে আশ্রয় প্রার্থীরা।

আশ্রয় কেন্দ্রে বঙ্গলতলী এলাকার বাসিন্দা জনৈক সোনাবী চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দলের কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত এ অঞ্চল। দেড় বছরের শিশু বিদ্যা সাগর চাকমাকে প্রাণনাশের হুঁমকি দেওয়া হয়েছে। তাই শিশুকে নিয়ে অসহায়ের মত জীবনযাপন করছেন।

তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী বান্টর চাকমা পেশার একজন জুমচাষি। তিনি জেএসএস (এম এ লারমা) দলটি সমর্থন করার কারণে তাকে ইউপিডিএফ’র লোকেরা মেরে ফেলার হুঁমকি দিয়েছে। এমনকি গ্রামে বসবাসরত সকল মানুষকে তারা হুঁমকি দিয়েছে বলে তিনি জানান।

আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া পলাশি চাকমা জানান, তাঁর স্বামী স্থানীয় সংগঠন জেএসএস (এম এ লারমা) সমর্থন করাই ইউপিডিএফ’র (প্রসিত) নেতাকর্মীরা মেরে ফেলার হুঁমকি দিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।

তিনি আরো জানান, ঘরবাড়ি ছেড়ে এখানে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকার যাতে তাদেরকে জানমালের নিরাপত্তা দেয়।

এ বিষয়ে ইউপিডিএফ (প্রসিত) সংগঠক মাইকেল চাকমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আমির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আঞ্চলিক দল গুলোর আধিপত্য বিস্তারের কারনে প্রাণের ভয়ে বাবু পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে বেশ কয়েকটি উপজাতীয় পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় কেউ এখনো কোন মামলা দায়ের করেনি বলে তিনি জানান।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: