কন্যারাশি তাই...

প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীর গালে কামড় দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে। গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।তবে সুমন মিয়া জানান, জোরে কথা বলায় স্ত্রী ছালেমা খাতুনের গালে কামড় দিয়েছেন তিনি।

ছালেমা খাতুন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ডৌহাখলা ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামের মো. সুমন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। যৌতুকের দাবিতে এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে স্বামীর আঘাতের ক্ষতচি‎হ্ন, নির্যাতনের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিকভাবে উঠেও দাঁড়াতে পারছেন না। তারপরও ছাড়েননি স্বামীর আশ্রয়।

বিচার চেয়ে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়েরের চার দিনেও ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার সেই নারী এখনো তার স্বামী মো. সুমন মিয়ার আশ্রয়েই আছেন।

স্ত্রীর নির্যাতনের বর্ণনাকে হার মানায় স্বামীর দেয়া নির্যাতনের কাহিনী। তিনি দাম্ভিকতা করেই বলেন, এটা কি মাইর মারছি! এর চেয়েও কত বেশি মাইর মারছি। চোরের চেয়েও বেশি মারছি। গলা চেঁচিয়ে কথা কয়, এর ল্যাগাইয়াই গালে কামড় দিছি।

এলাকাবাসী জানায়, সিংজানী গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রীর সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। পরে চরঘোড়ামারা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী ছালেমা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সেই সংসারে ছালেমা আক্তারের এক সন্তানকে নিয়ে নিকাহনামা ছাড়াই নতুন সংসার শুরু করেন।

এবার সেই সুমন কলতাপাড়ার চার সন্তানের জননী অপর এক নারীর সঙ্গে ফোনে আলাপ ও সম্পর্কের সন্দেহের জের ধরেই ছালেমা খাতুনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সিংজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে মারধর ও গালে কামড় দেয়।

পরকীয়া প্রসঙ্গে সুমন মিয়া বলেন, ‘আমি প্রেমে পড়ি না, কন্যারাশি তাই চেহারা না থাকলেও মহিলারা প্রেমে পড়ে যায়।’

ছালেমা খাতুন জানান, তিনি তাল্লু স্পিনিং মিলের শ্রমিক। প্রতি মাসের বেতনের টাকা তার স্বামী নিয়ে যায়। যৌতুকের কারণে তার ওপর এমন নির্যাতন চালায়। গত শনিবার তাকে প্রকাশ্যে সিংজানী প্রাইমারি স্কুল মাঠে মারপিট করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় ও গালে কামড় দেয়। এখনও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ওর নির্যাতনের কারণে এখন দাঁড়িয়েও থাকতে পারছি না।

গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহম্মদ জানান, নারী নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল হক সরকার বলেন, ওরা সমাজকে কলুষিত করেছে। প্রকাশ্যে অশালীন আচারণ-মারপিট, গালিগালাজে সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ।সূত্র: যুগান্তর।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: