রাজধানীতে কোটি টাকার আইফোন জব্দ 

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৮, ০৮:৩২ এএম

রাজধানীতে শনিবার (১৯ মে) দিনব্যাপী শুল্ক গোয়েন্দার একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে আইফোনগুলো জব্দ ও এই ৯ জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রাজধানীতে অবৈধ আইফোন বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ অনেকদিনের। এরপর থেকে অবৈধ আইফোন জব্দ করতে রাজধানীজুড়ে অভিযান চালানো হয়। এসব আইফোন আমদানিকারকদের থেকে না কিনে চোরাইভাবে নিয়ে আসা হয়। ফলে তারা শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। আমরা যেসব আইফোন জব্দ করেছি সেগুলোর কোনো বৈধ কাগজ নেই। আর এ কারণেই আমরা এসব জব্দ করেছি।

|এদিকে সকালে পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করে বের হয়ে আসার পথে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের রোষানলে পড়েন এডিজি জিয়া উদ্দিনসহ শুল্ক গোয়েন্দার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের নিরাপত্তায় শপিং কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয় র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। এসময় বসুন্ধরা সিটির সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। এতে পুরো এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি প্রায় কয়েক ঘণ্টাজুড়ে বসুন্ধরা সিটিতে থাকা ক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। পরে জব্দ আইফোনগুলো ফেরত নিতে বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যাডমিন অফিসার মোহাম্মদ আলী, বসুন্ধরা মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও এডিজি জিয়া উদ্দিনসহ শুল্ক গোয়েন্দারা কয়েকঘণ্টা বৈঠক করেন।

এসময় মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, বিনা নোটিশে শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদের মোবাইল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা স্থানীয় পুলিশকে কিছু না জানিয়েই এ অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় তারা কোনো কাগজপত্র দেখাননি। ক্রেতা ও বিদেশ থেকে আসা মানুষদের কাছ থেকে ফোনগুলো কেনেন, তাদের কাছে সেই কাগজও আছে। কিন্তু আমদানিকারকের মাধ্যমে তারা কেনেননি।

শুল্ক গোয়েন্দার এডিজি জিয়া উদ্দিন বলেন, বৈধভাবে অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে। দোকানিরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তাই তাদের ফোন জব্দ করা হয়েছে। বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে জব্দ মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে যারা মোবাইল ফোন নিয়ে আসছেন অথবা যারা নকল মোবাইল ফোন বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের আওতায় আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এ চক্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। কারণ নকল ও চোরাচালানের মাধ্যমে আনীত মোবাইল ফোনের কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান চলবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, অভিযানে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারবাহিনী অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।

বিডি২৪লাইভ/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: