‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে’

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৮, ০৮:৫৭ পিএম

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার (২০ মে) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিবছর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কুটনীতিকদের সন্মানে ইফতার পার্টি দিলেও এবার তার অনুপস্থিতে রোববার তৃতীয় রোজায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।

ইফতারে অনুষ্ঠানে কূটনৈতিকদের স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি আপনারা উপলব্ধি করছেন। আজ তিনি পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। তাকে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় বিনাদোষে কারাবন্দি হয়ে সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।’

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক যুগে বর্তমান অবস্থা আমরা আমাদের বিদেশী বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করছি। তবে আমরা বুঝি যে, আমাদের যে সংগ্রাম সেটা আমাদের নিজেদেরকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’

‘আমরা যদি দেশে অবাধ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

ইফতারে কোরের ডীন ভ্যাটিকেন সিটির রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জকোচেরী, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও, সোদি আরবের উপ-রাষ্ট্রদূত আমীর বিন ওমর বিন সালেম, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়াপ্রিফনটেইন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবালেত, প্যালেস্টাইনের চার্জ এফেয়ার্স ইউসেফ রামাডান, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারেটা কুলিনারে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ভুটান, ইরান, মরক্কো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কুটনীতিকরা ইফতারে অংশ নেন।

ইফতারে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাসির উদ্দিন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম আকবর খন্দকার, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুল কাইয়ুম, এনামুল হক চৌধুরী, একরামুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, নওসাদ জমির, ফাহিমা মুন্নী, রুমিন ফারহানা, নজরুল ইসলাম আজাদ, জেবা খান, তাবিথ আউয়াল, বেবী নাজনীন, মীর হেলালউদ্দিন, শাহ মো. নেসারুল হক ইফতারে ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাষ্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ কামাল উদ্দিন, মাহবুবউল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত সচিব হেমায়েত উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সাহিদুজ্জামান, অধ্যাপক রোরহান উদ্দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী ফেরদৌসী আরা, নাসির উদ্দিন বখতিয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ ইফতারে ছিলেন।

ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: