খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি কাল

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৮, ০৪:৪৫ পিএম

কুমিল্লায় হত্যা ও নড়াইলের আদালতে মানহানির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় খালেদা জিয়ার দুই আবেদন শুনানীর জন্য  মঙ্গলবার (২২ মে) দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

২০১৪ হরতাল অবরোধের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহি বাসে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় সাতজন মানুষ মারা যায়। এ ঘটনায় অনেকেই আহত হন। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের অভিযোগ এনে মানহানির মামলা করা হয় নড়াইলের আদালতে। মামলা দুটি বিচারাধীন রয়েছে। সে মামলায় খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ। এদুটি মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শুনানির জন্য মামলা দুটি সোমবারের কার‌্যতালিকায় রাখা হয়। সোমবার দুইটার পর অঅদালতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময়ের আবেদন করেন। পরে আদালত তার আবেদন গ্রহন করে আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিরোধীতা করে আদালত কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এ ঘটনায় একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. রায়হান ফারুকি ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

নড়াইলের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলায় চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক বাদীর উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ৮ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন। এরপর নির্ধারিত দিনে শুনানি নিয়ে পুনরায় জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। এ অবস্থায় চলমান মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

জামিন চেয়ে আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছেন দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারা অনুযায়ী। এর অধীনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। কিন্তু এই তিন ধারার মামলাই জামিনযোগ্য। তা ছাড়াও খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক। তাই এসব যুক্তিতে এ মামলায় জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতের বিচারক ড. আকতারুজ্জামান।

মামলার অপর আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমুউদ্দিন রোডের কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

 বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: