ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ির পথে

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৭, ১২:৪৮ এএম

সাইফুল মজুমদার,
মাভাবিপ্রবি থেকে 

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। বাড়ি থেকে মায়ের ফোন। তুই কবে আসবি বাবা। কত দিন দেখি না তোর মুখ। না জানি কত কষ্টে আছিস। এই ফোন পেয়ে কি আর থাকা যায়। খুব দ্রুত চলে প্রস্তুতি। ক্যাম্পাসের বন্ধু-বান্ধবী ছেড়ে অনেক দিন থাকতে হবে, তা ভাবলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। তবুও নাড়ির টানে প্রিয় জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির কাছে যেন তা কিছুই নয়। কত দিন দেখি না ছোট ভাই-বোনকে। খাই না মায়ের হাতের প্রিয় রান্না। এগুলো মনে হলে যেন চোখের পানি উপচে পড়তে চায়। এ এক অন্য ধরনের অনুভুতি।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে যতটা আনন্দ পাই ঠিক ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে ততটাই খারাপ লাগে। কথাগুলো বললেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিএস বিভাগের প্রিয় মেধাবী মুখ রাহাত শিকদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের টিই বিভাগের ৩য় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, বন্ধে রুমের আড্ডা গান অনেক মিস করব এবং সেই সাথে মিস করব ক্যাম্পাসের চিরচেনা আড্ডার স্থানগুলোকে। তবে মায়ের হাতের রান্না তো আর মিস করা যায় না।

বঙ্গবন্ধু হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, একটু মন খারাপ হলেও রোজায় একসাথে সেহেরি, ইফতার, আড্ডা এই স্মৃতিগুলো মনে রেখেই বাড়ি যাচ্ছি। আবার বাড়ির আনন্দের স্মৃাতগুলো সঙ্গি করেই ক্যাম্পাসে ফিরতে হবে। কয়েকদিন ক্লাস লেখাপড়া অ্যাসাইনমেন্ট থেকে অবসর পাওয়া যাবে। ঈদের আনন্দ হবে মা-বাবা, ভাই-বোন আর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে। আর এজন্যই ক্যাম্পাস এখন প্রায় ফাঁকা, অপেক্ষায় আছে সেই জায়গাগুলো যেখানে থাকে বন্ধু-আড্ডা আর গান। আর এ আশায় ভর করেই আমরা এখন প্রাণের ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ির পথে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিমধ্যে ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের চিরচেনা আড্ডার স্থানগুলোতে দেখা যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে ২২ জুন থেকে ০৩ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: