কতটা নিরাপদ? মাটিতে ঘুমানো!

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৭, ১০:০৯ এএম

অনেকে অভ্যাসের কারণে মাটিতে ঘুমিয়ে থাকেন। যদিও বিছানার থেকে কম আরামের ঘুম হলেও এটা স্বাস্থ্যকর। এছাড়া এতে গরমও কম লাগে। তাইতো এই ২১ শতকেও জাপানের অনেক নাগরিক মাটিতে ঘুমায়। তারা মনে করেন এমনটা করলে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠে। মাটিতে শোয়া শরীরের পক্ষে ভালো না খারাপ? এখন প্রশ্ন হলো চিকিৎসা বিজ্ঞান কী বলছে?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনকালে প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময়ই আমরা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই। পিঠের নানাবিধ রোগের সঙ্গে শোয়ার একটা সরাসরি যোগ রয়েছে। কেউ নিরুপায় হয়ে মাটিতে শুতে বাধ্য হন আবার কেউ অভ্যাসের কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠিক ভঙ্গিতে না শোয়ার কারণেই প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ পিঠের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই মাটিতে শোয়া অথবা বিছানায়, ঠিক মতো শোয়াটা জরুরি।

একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মেঝেতে ঘুমালে শিরদাঁড়ার নানারকম সমস্যা দূর হয়ে থাকে। মাটিতে শোয়ার সঙ্গে পিঠের কোনো রোগেরই সরাসরি সংযোগ নেই। বরং নরম বিছানায় শুলে পিঠের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়ার আশংকা বাড়ে। কারণ নরম বিছানায় শুলে শিরদাঁড়া তার প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পায় না, ফলে শোয়ার সময় 'বডি পসচার' একেবারে ঠিক থাকে না। ফলে পিঠে যন্ত্রণা দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে বড় ধরনের রোগ দেখা যায়। যদি দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে চাই, তাহলে এখন থেকেই সপ্তাহে ২-৩ দিন মাটিতে শোয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের উন্নতি হবে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি বালিশ ছাড়া মাটিতে ঘুমান তাহলে জীবনে কোনো দিন শিরদাঁড়ার কোনো রোগ হওয়ার আশংকা থাকে না।

সাবধানতাঃ যদি কারো শারীরিক কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাটিতে ঘুমাবেন না। চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে কয়েকদিন শুয়ে দেখতে পারেন, যদি কোনো সমস্যা না হয় তাহলে নিশ্চিন্তে মাটিতে ঘুমাতে পারবেন আপনিও।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: